বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট নন পর্তুগালের ভক্তরা। কিন্তু তাও জয় পাওয়া গিয়েছে, যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডেইলি মেইল সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজের খরচে সকলকে কাতারের আল মাহা আইল্যান্ডের নতুন ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্ট “তাঁতেল দে দোহা”-তে ডিনার করিয়েছেন পর্তুগিজ মহতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। উপস্থিত ছিলেন না শুধুমাত্র গোলরক্ষক জোসে সা, সাইড ব্যাক জোয়াও ক্যান্সেলো এবং মিডফিল্ডার বের্নার্ডো সিলভা। তারা নিজেদের পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ঘানার বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচে জয় পাওয়ার পর খুশি হয়ে ফুটবলারদের একদিন অনুশীলন থেকে ছুটি দিয়েছিলেন পর্তুগিজ কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। সেই সুযোগেই সতীর্থদের এই উপহার দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। দলের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ আরো দৃঢ় করে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
ডিনার চলাকালীন নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েও সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। কোথায় কি কি ভুল হচ্ছে সেই নিয়েও নিজের দলের ফুটবলারদের পরামর্শ দিয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১১.৩০ নাগাদ সকলে হোটেলে ফিরে আসেন অফিসিয়াল টিম বাসে চড়েই।
রোনাল্ডো এমন একজন অধিনায়ক যিনি অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতেও নিজের সতীর্থদের পাশে থাকেন। এর আগে যখন ২০১৬ সালে ইউরো কাপ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল রোনাল্ডোর পর্তুগাল, তখন একটি নক আউট ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় অত্যন্ত ঘাবড়ে যাওয়া পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও মুটিনহোকে এক প্রকারের জোর করেই পেনাল্টি মারতে পাঠান রোনাল্ডো। তার আগে তিনি বারবার বলে দিয়েছিলেন ‘তুমি খুবই ভালো পেনাল্টি মারো। যদি মিস হয় তাহলে সেটা ভগবানের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তুমি এগিয়ে এসে বাকিদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন কর।’ বলাই বাহুল্য এরপর সফলভাবে পেনাল্টিটি মেরেছিলেন মুটিনহো। ২০১৭ কনফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে যখন চিলির কাছে পেনাল্টি শ্যুট আউটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পর্তুগাল, তখন পেনাল্টি মিস করে লজ্জায় দলের থেকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রিকার্ডো কোয়ারেসমাকে কাছে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন রোনাল্ডো।
ঘানার বিরুদ্ধেও ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও এমন দৃশ্য দেখা যায়। পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়েগো কোস্তা নিজের ভুলে ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে ঘানাকে একটি গোল প্রায় উপহারই দিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে ঘানার ফরোয়ার্ড ইনাকী উইলিয়ামস পিছিলে যাওয়ায় কোনওক্রমে রক্ষা পেয়ে জয় নিশ্চিত করে পর্তুগাল। ম্যাচ জিতেও অত্যন্ত গম্ভীর এবং করুণ মুখ করে হাঁটছিলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক। সেই সময়ের রোনাল্ডো তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “আমরা জিতেছি, তোমার আর আপাতত মন খারাপ করার দরকার নেই, খুশি মনে থাকো। আর একটা ম্যাচ জিতলেই আমরা পরের রাউন্ডে পৌঁছে যাব।” এখন সতীর্থদের এই ডিনারে নিয়ে গিয়ে আবারো রোনাল্ডো প্রমাণ করলেন কেন দেশের জার্সি গায়ে তিনি এত সফল একজন অধিনায়ক।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা