বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেই ক্রস ভোটিংয়ের (Cross Voting in Presidential Election) কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ (Suvendu Adhikari) বিভিন্ন বিজেপি নেতারা। অবশেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শেষে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে তাদের দাবিই সত্য বলে প্রমাণিত হল। দিনের শেষে এই রাজ্যের বিধানসভা থেকে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) পেয়েছেন ৭১টি ভোট ।
বিজেপির (BJP) তরফ থেকে ৬৯ জন বিধায়ককে আলাদা করে হোটেলে রেখে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট করানো হয়ে। অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) ছেলে বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ (Pawan Singh) ওই দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু ভোটের দিন তিনি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই ভোট দেন ৷ যদি তাঁর ভোট দ্রৌপদী মর্মু পেয়ে থাকেন তাহলেও এই সংখ্যাটা হবে ৭০। যেহেতু বিজেপি প্রার্থী এ রাজ্যের বিধানসভা থেকে ৭১টি ভোট পেয়েছেন, তার মানে এমন কেউ আছেন যিনি তৃণমূলে থেকেও দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চার বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে (President Election 2022)। মনে করা হচ্ছে, এই চারটি ভোটই এ রাজ্যের শাসক শিবিরের বিধায়কদের। যদি এটা না হয় তাহলে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়া বিধায়কের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিজেপি নেতা অমিত মালবীয় অভিযোগ করেন তৃণমূলের নেতারা বিজেপির বিধায়কদের ক্রশ ভোটিং করার জন্য হুমকি দিয়েছিল। এত হুমকি দেওয়ার পরও প্রত্যেকটি বিজেপি বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মুকেই ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান বলেন, “আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনেছি। উনি সংবিধান মানেন না। উনি সব মিথ্যে কথা বলেন। ওঁর নামের আগে ‘লায়র সিএম’ লাগানো উচিত।” অমিত কটাক্ষ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিধায়কদের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।
2 TMC MPs and 1 MLA cross voted. Vote of 2 TMC MPs and 4 MLAs declared invalid. Mamata Banerjee, self appointed fulcrum of opposition unity, failed to prevail over her own legislators.
On the other hand, despite intimidation, all BJP WB legislators backed Smt Droupadi Murmu…
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 21, 2022
এ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দলের তরফ থেকে ভোট দান করেন ২১৫ জন বিধায়ক। এ ছাড়া ছিলেন পাঁচ জন দলবদলু বিধায়কও। একজন ছিলেন নির্দল বিধায়ক। প্রথম দিকে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিজেপির মধ্যে থেকেই ক্রস ভোটিং হবে। কিন্তু দিনের শেষে উল্টো ছবি দেখা যায়। কে যে দ্রৌপদী মর্মুকে ভোট দিলেন, সেটা খুঁজে বের করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্যের শাসক দলের জন্য।