পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষঃ ত্রাণের দাবিতে নাম অবরোধ তুলতে গিয়ে মাথা ফাটল পুলিশের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ত্রাণের (Relief) কারণে বাদুড়িয়ায় (Baduria) শান্তিপূর্ণ পথ অবরোধ করলেও শেষে জুটল পুলিশের মার। গ্রামবাসীদের সাথে সংঘর্শে আহত হল এক পুলিশ কর্তাও। বুধবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ বিলি করতে গ্যে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লাথি চার্জ করল পুলিশ।

22222222222222222

 

করোনা (COVID-19) সংক্রমণের জন্য জারী রয়েছে লকডাউন। কাজের অভাবে অনেক মানুষ বর্তমানে খাদ্য সংকটে পড়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাদুড়িয়ার দাসপাড়া ও কাহারপাড়ার গ্রামবাসিরা এই সংকটের সময়ে ঠিকমতো ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগে বসিরহাট ও বনগাঁ অশ্বত্থতলার রাস্তা অবরোধ করেন। রাস্তা অবরোধ করলেও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, শান্তিপূর্ণভাবে তা করছিল। দারিদ্রসীমার নিচে থাকা এই মানুষগুলো থালা বাটি নিয়ে সকাল থেকেই ত্রাণের জন্য রাস্তা অবরোধ করে।

5555555555555555

 

বেলা বাড়তেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে, গ্রামবাসি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তাঁদের অবরোধ তুলে দিতে চাইলে, তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। যার ফলে এক পুলিশ কর্তার মাথা ফেটে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহতও হন। এরপরই পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। মহিলা এবং শিশুদেরও পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। এই ঘটনার জেরে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায়, সেখানে পুলিশি পাহারা বসানো হয়।

police222

বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে পুলিশকে মানবিক হওয়ার আবেদন করেছে, সেখানে উল্টে পুলিশ এই দরিদ্র না খেতে পাওয়া মানুষদের নির্বিচারে মারধর করেছে’। এখন পুলিশের উচিত তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বলেও অনেকে দাবী করছে। আবার স্থানীয় পুর প্রতিনিধি দাবী করছে, এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয়ই কোন রাজনৈতিক মদত রয়েছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর