বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায় CRPF জওয়ানের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার ঘটনা সামনে এসেছে। হত্যার পর CRPF জওয়ানের স্ত্রীর দেহ ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মুখতার নামের এক ব্যক্তি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পরকীয়ার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃতার স্ত্রীর নাম গীতা দেবী।
पनकी थाना क्षेत्र में महिला का शव मिलने की सूचना पर #POLICE_COMMISSIONERATE_KANPUR_NAGAR द्वारा त्वरित कार्यवाही करते हुए अभियोग पंजीकृत कर नामित 03 अभियुक्तों को हिरासत में लेकर विधिक कार्यवाही की जा रही है। @Uppolice
— POLICE COMMISSIONERATE KANPUR NAGAR (@kanpurnagarpol) February 26, 2022
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতার স্বামীর নাম ইন্দরপাল। কানপুরের পাঙ্কি এলাকার রতনপুর কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সী স্ত্রী গীতা দেবী দুই সন্তান সুশান্ত এবং সিদ্ধার্থকে নিয়ে পরিবারে থাকতেন। সিআরপিএফ জওয়ান ইন্দরপাল রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইউপির মইনপুরিতে নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তিনি তার স্ত্রীর মোবাইলে একাধিক কল করেও কোনো সাড়া পাওয়া পাননি। বিষয়টি পুলিশকে জানায় ইন্দরপাল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি করলে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির একটি কক্ষ থেকে বিয়ারের খালি ক্যান, গ্লাসসহ আরও কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়।
পরের দিন ২১ ফেব্রুয়ারি, ইন্দরপাল ডিউটি থেকে ফিরে পুলিশের কাছে তার স্ত্রীর নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন।পুলিশের তদন্তের জানা যায় যে, গীতা দেবীর শেষ কথা হয়েছিল গাড়ি মেকানিক মুখতারের সঙ্গে। পুলিশ মুখতারকে হেফাজতে নিলে সে গীতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশকে মুখতারের জানায়, “বিয়ের আগে গীতার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সে গীতার বাপের বাড়ি জামালপুরের বাসিন্দা। ইন্দরপাল যখনই ডিউটিতে যেতেন, মুখতার প্রায়ই তাঁর বাড়িতে যেত।”
মুখতার জানায়, “গীতা একজন প্রপার্টি ডিলার পুষ্পেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে। সে গঙ্গাগঞ্জের বাসিন্দা। গীতার অন্য কারো সাথে কথা বলা মুখতারের পছন্দ হয়নি। তাই ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গীতাকে গাড়িতে তুলে নেয় সে। এরপর গীতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। খুনের পর মৃতদেহ কানপুর গ্রামের ভাউপুর মাইথার কাছে একটি ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ দেহ উদ্ধার করে।