দেশের জওয়ানরা যে আমাদেরে কাছে দেশের নায়ক তা নতুন করে বলার দরকার পরে না সীমান্তে থেকে তারা প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন বাচিয়ে চলছে তারা। নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজেরাই এখন প্রতিদিন তারা দেশের আম জনতার সেবা করে চলেন। আর সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) দেশের সেবায় প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুত। দেশকে রক্ষার পাশাপাশি এই বাহিনীর সৈন্যরা জনগণের প্রতিটি সম্ভাব্য সহায়তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে। এই সৈন্যদের মাথায় একটাই চিন্তা রয়েছে – “দেশের রক্ত, দেশের নাম।” সিআরপিএফের ৫০ জন জওয়ান জিটিবি নগর হাসপাতালে পৌঁছে দিল্লির সহিংসতায় আহত ব্যক্তিদের যাতে রক্তাল্পতা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য রক্তদান করেছিলেন।
গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে এই সিআরপিএফ জওয়ানরা রক্ত দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির জিটিবি হাসপাতালে পৌঁছেছিল। হাসপাতাল পক্ষ ৫০ জওয়ানের মধ্যে ৩৪ জনের রক্ত নিয়েছিল। সৈন্যরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাদের আরও রক্তের প্রয়োজন হলে তারা রক্ত দান করবে। হাসপাতালের কর্মকর্তারা রক্তের প্রয়োজনে জওয়ানদের ফোন করার আশ্বাস দিয়েছিল। এমনকি খবর মিলেছে ২, ফেব্রুয়ারি এআইএমএসে অনুষ্ঠিত মেগা রক্তদান শিবিরে সিআরপিএফের ৫০০ কর্মকর্তা ও সৈনিকরা রক্ত দান করেছিলেন। দিল্লির ক্রমবর্ধমান পরিবেশের মধ্যে সিআরপিএফ জওয়ানদের এই পদক্ষেপ মানবতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি তাদের আবেগকে দেখায়।এর আগে সিআরপিএফের মহাপরিচালক ডঃ এ পি মহেশ্বরী সৈন্যরা দেশবাসীর জন্য রক্তদানের দ্বারা অত্যন্ত অভিভূত হয়েছিল। এই উত্সাহে, ২০২০ সালের ২০ শে মার্চ সিআরপিএফ এর ৮১ তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে।
বলা যেতে পারে বার্ষিকীতে সিআরপিএফ ধারাবাহিকভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছিলো ।লক্ষণীয়ভাবে, ২০১২ সালে সিআরপিএফ সারা দেশে ১৫৪ টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল, যেখানে ৬৯৫৯ সিআরপিএফ জওয়ানরা রক্তদান করেছিল। সিআরপিএফ কর্মীরা রক্তদান করে সারা দেশে হাজার হাজার মানুষের অমূল্য জীবন বাঁচিয়েছে। এভাবেই সিআরপিএফ কয়েক হাজার মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও তারা এরকম করে আমজনতার সেবা করবেন।