ফের বড়সড় সাফল্য পেল ISRO! চন্দ্রযান-৩ মিশনের জন্য পরীক্ষা সফল হল ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার আরও একটি সফলতা হাসিল করল ISRO (Indian Space Research Organisation)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের লঞ্চ ভেহিকেলের CE-20 ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এই তথ্য জানিয়েছে। ISRO-র তরফে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে ISRO প্রোপালশন কমপ্লেক্সের হাই অল্টিটিউড লঞ্চ কেন্দ্রে ২৫ সেকেন্ডের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফ্লাইট গ্রহণযোগ্যতার এই পরীক্ষা করা হয়েছিল।

পাশাপাশি, ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা গত সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, “পরীক্ষা চলাকালীন ওই ইঞ্জিনটি সমস্ত প্রোপালশন প্যারামিটার পূরণ করেছে এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছে।” ISRO জানিয়েছে যে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনটিকে প্রোপেলান্ট ট্যাঙ্ক, স্টেজ স্ট্রাকচার এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লুইড লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হবে যাতে একটি সম্পূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড ফ্লাইট ক্রায়োজেনিক স্টেজের আকার দেওয়া যায়।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরের শুরুর দিকে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারটির তিরুপতির ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে সফলভাবে EMI/EMC পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময়ে ISRO জানিয়েছিল যে EMI/EMC (ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফারেন্স/ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কম্প্যাটিবিলিটি) মহাকাশের পরিবেশে স্যাটেলাইট সিস্টেমের কার্যকারিতা এবং প্রত্যাশিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্তরের সাথে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করার জন্য স্যাটেলাইট মিশনের পরীক্ষা করা হয়।

পাশাপাশি, সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়, “এই পরীক্ষা স্যাটেলাইট নির্মাণের দিকে একটি বড় মাইলফলক।” উল্লেখ্য যে, চন্দ্রযান-৩ হল ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান। যার তিনটি প্রধান মডিউলের মধ্যে রয়েছে প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভার।

chandrayaan 2 isro 1024

এমন পরিস্থিতিতে এই মিশনের জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে, তিনটি মডিউলের মধ্যে একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) যোগাযোগ লিঙ্ক স্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত, চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্য হল, রোভারের চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণ করা এবং কক্ষপথে নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা প্রদর্শন করা। জুন মাসে এটি চালু করার পরিকল্পনা করছে ISRO। এমতাবস্থায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (LVM-3)-এর মাধ্যমে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দিকে পাঠানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর