বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আইপিএলে ফের হারের মুখ দেখলো চেন্নাই সুপার কিংস। হার্দিক হীন গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৩ উইকেটে হারলো ধোনিরা। কার্যত ডেভিড মিলারের কাছেই হারলো সিএসকে দল। ৮টি চার ও ৬টি ছক্কা সহযোগে ৫১ বলে ৯৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে চেন্নাইয়ের মুখের গ্রাস একাই কেড়ে নিলেন বাঁ-হাতি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার।
আজ চোটের জন্য হায়দরাবাদ দলে ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে অধিনায়কত্ব করছিলেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দ্রুত উথাপ্পাকে তুলে নিয়ে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন মহম্মদ শামি। তারপর তিন নম্বরে নামা মঈন আলী-কে বোল্ড করে চেন্নাইকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেন গুজরাটের পেসার আলঝারি জোসেফ। কিন্তু এরপর চলতি টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জন্য ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন চেন্নাই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড। চলতি টুর্নামেন্টে একবারও আজকের আগে বড় রানের দেখা পাননি তিনি। সেই আফসোস মিটিয়ে আজ গুজরাট বোলারদের হাত খুলে আক্রমণ করেন তিনি।
ঋতুরাজকে যোগ্য সঙ্গত দেন চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটার আম্বাতি রায়ডু। ধীরে শুরু করলেও ম্যাচ গড়ানোর সাথে সাথে দুই ব্যাটারই লকি ফার্গুসন, আলঝারি জোসেফ-দের মতো দ্রুতগতির বোলারদের সাথে সাথে রশিদ খানের লেগ স্পিনকেও ভোঁতা করে চার ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন দুই তারকা। তাদের মধ্যে ৯২ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু ঋতুরাজ ৪৮ বলে ৭৩ এবং রায়ডু ৩১ বলে ৪৬ করে ফেরার পর রানের গতি কিছুটা স্লথ হয়েছিল। শেষপর্যন্ত শিবম দুবে (১৯) ও রবীন্দ্র জাদেজার (২২) ব্যাটে ভর করে ১৬৯ রান স্কোরবোর্ডে তোলে চেন্নাই সুপার কিংস। ৪ ওভারে দুরন্ত বোলিং করে মাত্র ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মহম্মদ শামি।
জবাবে ব্যাট করতে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয় গুজরাটের। টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটার সেট হতে পারেননি। কার্যত একার হাতে গুজরাটকে টানছিলেন ডেভিড মিলার। শেষপর্যন্ত ৭ নম্বরে নামা রশিদ খান মিলারের সাথে মিলে রুখে দাঁড়ান। মিলার এবং রশিদের মধ্যে ৭০ রানের একটি ঝোড়ো ও দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হয়। রশিদ ২১ বলে ৪০ রান করে আউট হন। তারপর শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাটকে তুলতে হতো ১৩ রান। জর্ডানের শেষ ওভারের প্রথম দুটি বল ডট খেলার পরেও দুরন্ত ব্যাটিং করে গুজরাটকে জয় এনে দেন মিলার। ব্যর্থ হয়ে যায় থিকসেনা এবং ব্র্যাভোর দুরন্ত বোলিং স্পেল গুলো।