বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছে গিয়েছে আইপিএলের এবারের ট্রফির লড়াই। আজ দুবাইতে সুপার সান্ডের প্রথম কোয়ালিফায়ারে একদিকে ছিল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস এবং অন্যদিকে পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। অর্থাৎ কার্যত গুরু-শিষ্যের লড়াই দেখতে মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। টসে জিতে আজকের এই মহাযুদ্ধে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মাহি। শুরুটা আজ মোটেই ভাল হয়নি দিল্লির পক্ষে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটসম্যান শিখর এবং শ্রেয়াসকে হারিয়েছিল তারা। কাজ করেনি অক্ষরকে ওপরে পাঠানোর সিদ্ধান্তও।
একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তোবা রীতিমতো একা পড়ে যাবেন পৃথ্বী শ। কারণ ৩৪ বলে সাতটি চার এবং তিনটি ছয় সহযোগে তিনি বিধ্বংসী ৬০ রানের ইনিংস খেলা সত্বেও দলের স্কোর ছিল মাত্র ৮০। এরই মাঝে আবার তাকে ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। তবে এদিন দিল্লির হয়ে অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন ঋষভ পন্থ এবং তাকে যথা যোগ্য সঙ্গত দেন সিমরান হেটমায়ার। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৫ বলে তিনটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি সাহায্যে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পন্থ। অন্যদিকে সিমরান ৩৭ রানে আউট হলেও ততক্ষণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রানে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি। চেন্নাইয়ের হয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট তুলে নেন হেজেলউড। একটি করে উইকেট পান জাদেজা, মঈন এবং ব্রাভো।
১৭৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এদিন ভালো হয়নি সিএসকেরও। মাত্র এক রানেই ডুপ্লেসিকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন নকিয়া। তবে অভিজ্ঞ উথাপ্পা এবং তরুণ ঋতুরাজ এদিন ফের একবার চেন্নাইয়ের জন্য স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন। মাত্র ৪৪ বলে সাতটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো গুরুত্বপূর্ণ ৬৩ রানের ইনিংস খেলার পর অবশেষে উথাপ্পাকে ঘরে ফেরান টম কুর্যান। একইসঙ্গে শার্দুলকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। মাত্র ১ রান যোগ করে রান আউট হন রাইডুও।
https://twitter.com/IPL/status/1447258574816698376?t=GC7AXTeG2E0dnOZKtCUYbw&s=19
ফলে ফের একবার ঋতুরাজের উপরেই নির্ভর হয়ে পড়েছিল সিএসকে। কিন্তু একেবারে শেষ পর্যায়ে ৫০ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলার পর তাকেও প্যাভেলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে চেন্নাইকে বড় ধাক্কা দেন আবেশ খান। ফলতো চেন্নাইয়ের তরী পারে ভেড়ানোর দায়িত্ব এসে পড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং মঈন আলীর উপর। টম কুর্যানের শেষ ওভারে এদিন ফের কিছুটা পুরনো ধোনির ঝলক দেখান মাহি। প্রথম বলে ছয় এবং তারপর পরপর বাউন্ডারি তুলে নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’। ফলতো জয়ের জন্য তিন বলে দরকার ছিল ৫ রান। বাউন্ডারি তুলে নিয়ে আগের মতই এদিন চেন্নাইকে জয় এনে দেন সেই পুরনো ধোনি। ৪ উইকেটের এই জয়ের ফলে আপাতত আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল ইয়োলো আর্মি।