কলকাতার বিজয় রথ রুখে দিল ‘ড্যাডিস আর্মি’, চতুর্থবার ট্রফি জয় ক্যাপ্টেন কুলের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজয় দশমীর এই রাতে একদিকে যেমন পুজোর শেষ আনন্দের রেশ টুকু রেখে দেবার চেষ্টা করছিল বাঙালি, তেমনি অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সর্মথকরা আজ ছিলেন ভীষণ উত্তেজিত। কারণ আজ ধোনির চেন্নাইয়ের সাথে আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মর্গ্যান বাহিনী। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক। যদিও এদিন এই সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় মর্গ্যানের জন্য। মাত্র ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে চেন্নাইকে ভালো শুরুয়াত দেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।

তবে আজ মূলত তাদের জন্য নায়ক হয়ে ওঠেন সেই পুরনো ডুপ্লেসি। প্রথমে উথাপ্পা এবং পরে মঈন আলিকে সাথে নিয়ে আজ যে ৮৭ রানের সুন্দর ইনিংস উপহার দেন তিনি তা কার্যত অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় কেকেআরকে। আজ তার এই ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি চার ও ৩ টি ছয় দিয়ে। অন্যদিকে মাত্র ১৫ বলে তিনটি ওভারবাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন উথাপ্পাও। আর মাত্র কুড়ি বলে দুটি চার ও তিনটি ছয় দিয়ে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দুরন্ত ফিনিশ করেন মঈন আলী। যার জেরে মাত্র ৩ উইকেটে হারিয়ে ১৯২ রানের বড় স্কোর খাড়া করে চেন্নাই। কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন নারিন এবং একটি উইকেট পান মাভি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে কার্যত ভালো শুরু করেছিল কেকেআরও। যদিও শুরুতেই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে দুটি বড়ো জীবন দান দেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অন্যদিকে জীবন দান পান শুভমান গিলও। এমনকি জাদেজার বলে কার্যত তালু বন্দি হয়েও বেঁচে যান গিল। কারণ বল লেগে গিয়েছিল স্পাইডার ক্যামেরায়৷ তবে আজ সুযোগের ফায়দা তুলতে কোন ভুল করেননি ভেঙ্কটেশ আইয়ার। শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত ৩২ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো সুন্দর হাফ সেঞ্চুরি উপহার দেন তিনি। যদিও একইসঙ্গে খাতা খোলার আগে নীতিশ রানাকেও ফিরিয়ে দেন শার্দুলই৷ ফলে ফের একবার ম্যাচে বড় কামব্যাক করে চেন্নাই। আজ সেভাবে কলকাতাকে সাহায্য করতে পারেননি নারিনও। মাত্র দু রানেই হেজেলউডের বলে জাদেজার হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।

IMG 20211015 232723

৪৩ বলে ৫১ রান করে গিল কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন ঠিকই তবে ১৪ তম ওভারে দীপক চাহারের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনিও। যার জেরে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় কলকাতা। তার ওপর আবার একই ওভারে কার্তিক এবং সাকিবকে ফিরিয়ে দিয়ে কার্যত তাদের কোমর ভেঙে দেন জাদেজা। ফলে কলকাতার কাছে এদিন শেষ ভরসা ছিলেন অধিনায়ক মর্গ্যান এবং রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু এদিন খাতা খোলার আগেই শার্দুলের বলে ফিরে যান ত্রিপাঠীও। আর রানরেটের চাপ ভুল করতে বাধ্য করে মর্গ্যানকেও। মাত্র ৪ রানেই হেজেলউডের শিকার হন তিনি। ফলত প্রায় চার ওভার বাকি থাকতেই বাতাসে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে চেন্নাই। শেষ পর্যন্ত লকি ফার্গুসন এবং শিভম মাভি কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই কিন্তু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রানেই থেমে যায় কলকাতার ইনিংস। ফলে ২৭ রানে চতুর্থবার ট্রফি জয় করে মাহি ব্রিগেড।

 

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর