বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেরালার (Kerala) আলাপুজা জেলার একটি শহর আরকুট্টির বাসিন্দা নাসার হলেন একাধারে কৃষক এবং ইঞ্জিনিয়ার। মাত্র ৬০ বর্গফুট জমির উপর প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট করে সময় দিয়ে তিনি তাঁর বাগানে প্রায় ২৬ রকমের সবজির চাষ করেছেন। এই চাষ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তিনি করেছেন।
এই বিষয়ে নাসার জানান, ‘আমি কৃষকদের পরিবারে বড় হয়েছি এবং প্রক্রিয়াটি দেখতে বরাবরই আগ্রহী ছিলাম। বীজ বপন করা থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত সবই আমি জানতাম। সেই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে গত ২১ বছর ধরে আমি আমার পুরো পরিবারের জন্য শাকসব্জী চাষ করে চলেছি। কোন দিন একটিও সবজি আমরা কিনিনি। শশা, করলা, গাজর, আদা, টমেটো, মরিচের বিভিন্ন প্রকার, শাক এবং ফুলকপি ছাড়াও আরও নানারক্ম সবজির চাষ আমি করি’।
নাসার বাগানে সবজির গাছের মাঝখান দিয়ে শুধু হাঁটার জন্য সরু সরু রাস্তা রয়েছে। আর আবকি জমি সবজিতে পরিপূর্ণ। নাসা জানায়, ‘জায়গা কোন সমস্যাই নয়। আপনি যদি আপনার জায়গাটিকে ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনা করে ব্যবহার করেন, তবে আপনি আপনার প্রয়োজন সমস্ত শাকসব্জী বাড়িতেই ফলাতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে একটি মিনি রান্নাঘর বাগান থাকা উচিত। আর আপনি যদি একবার নিজের হাতের তৈরি সবজির তরকারি খেয়ে তাঁর তৃপ্তি পান, তাহলে আপনি কখনই কৃষিকাজকে না বলবেন না। তবে চাষের ক্ষেত্রে কখনই রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন না। সর্বদা জৈব সার ব্যবহার করবেন, যা লাভজনক ফলনে সাহায্য করবে’।
এই জৈব সার বানানোর জন্য ১ কিলো তাজা সার, ১ কিলো গুড়, ১ কিলো চিনাবাদাম পিষ্টক গুঁড়ো এবং ১/২ কেজি কলা ৩০ লিটার জলে মিশ্রিত করে সাত দিনের জন্য ভিজিয়ে রেখে দেন নাসার। তবে এই মিশ্রিত সার গাছে ব্যবহার করবার সময় ১ঃ৮ অনুপাতে মেশাতে হবে। এবং এই মিশ্রিত জৈব সার কমপক্ষে ৪৫ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে জৈব কেরল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক, নাসার তার বহু গ্রামবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। অনন্য এবং সঠিক কৃষিকাজের জন্য অনেক স্থানীয় কমিটি থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন নাসার।