বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট প্রচারে বেরিয়ে সিঙ্গুরের দই খেয়ে ‘ফিদা’ হয়ে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। দেদার প্রশংসা করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তা নিয়ে সেই সময় একাধিক মিম হলেও, অনেকেই রচনার মন্তব্যকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। অনেকে আবার রচনার মুখে তারিফ শুনে দই চেখেও দেখেন। এবারের জামাইষষ্ঠীতেও (Jamai Sasthi) দইয়ের ডিম্যান্ড হু হু করে বেড়েছে বলে জানালেন হুগলির (Hooghly) মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের মিষ্টির দোকানগুলিতে তুমুল ব্যস্ততা চোখে পড়ছে। মিষ্টির দোকানের সামনে লম্বা লাইন। সব মিলিয়ে, উৎসবের মেজাজ রাজ্য জুড়ে। এই আবহে হুগলির মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানালেন, অন্যান্যবারের থেকে এবার মিষ্টির চাহিদা অনেকটা বেশি। শ্বশুর-শাশুড়িদের পাশাপাশি বহু জামাইও এক হাঁড়ি দই (Curd) নিয়ে যেতে চাইছেন।
এই প্রসঙ্গে ধনঞ্জয় দাস নামের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, ‘জামাইষষ্ঠীতে নানান ধরণের মিষ্টি, সন্দেশ তৈরি করেছি। অন্যান্যবারের থেকে এবার দইয়ের চাহিদা অনেকটা বেশি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে হুগলির দইয়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। ওনাকে ধনব্যবাদ। সাংসদের মুখ থেকে প্রশংসা পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীরা খুশি। আমাদের মনের জোর বেড়েছে’।
আরও পড়ুনঃ চরম বিপাকে সোহম! এবার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলা
শৈবাল মোদক নামের আর এক ব্যবসায়ী আবার জানান, আগে মূলত দুই রকম ফ্লেভারের দই তৈরি হলেও, এবার সেই সংখ্যাটা বেড়েছে। গন্ধরাজ দই, আম দই তৈরি হচ্ছে এবার। গতবারের চেয়ে এবারের দই বিক্রি বেড়েছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গেই শৈবাল বলেন, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে নানান ধরণের সন্দেশও তৈরি করা হয়েছে। তবে এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যের মিষ্টির মূল্যে কোনও বদল আসেনি বলে জানান তিনি।
এদিকে রচনার কথা বলা হলে, রাজনীতির ময়দানে পা রেখেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। দু’মাস হুগলির মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। সেই ফলও পেয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। হেভিওয়েট লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে এবার সংসদে যাচ্ছেন তিনি।