সরকারি প্রকল্পের সুবিধার্থীদের থেকে ‘ কাটমানি” নেওয়ার জন্য শিলিগুড়িতে ব্যাবসায়িরা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। শিলিগুড়ির ঘুগুমালি এলাকার স্থানীয় ব্যাবসায়িরা অনিশ্চিত কালের জন্য নিজেদের দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।
৩৭ নং ওয়ার্ড এর তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যাবসায়িরা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের কাউন্সিলর রঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন যে, স্থানীয় কাউন্সিলর তাঁদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে তাঁদের থেকে ঘুষ অথবা কাটমানি নেন। শুধু তাই নয়, ব্যাবসায়িরা রাস্তা জ্যাম করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
মুখ্যমন্ত্রী ব্যানার্জীর কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশের পর থেকে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের প্রায় প্রতিটি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমনকি সাধারণ মানুষ বাদেও, তৃণমূলের সমর্থকেরা তৃণমূলের নেতাদের থেকে কাটমানি ফেরত নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। রাজ্য জুড়ে এহেন প্রতিবাদ চলার জন্য চরম ব্যাকফুটে শাসক দল তৃণমূল।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, কাটমানি হল এক প্রকারের ঘুষ, যেটা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূলের নেতারা স্থানীয় মানুষদের থেকে হাতেনাতে কেটে নিয়ে থাকে। তাছাড়াও তৃণমূলের নেতারা সরকারি যেকোন কাজের ক্ষেত্রেই সাধারণের থেকে এরকম ঘুষ নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে স্থানীয় মানুষদের চাপে পড়ে বীরভূম জেলার এক তৃণমূলের নেতা প্রায় ১০০ জন মানুষকে কাটমানি হিসেবে ২.২৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়াও ওই নেতা স্থানীয়দের থেকে হাত পা জুড়ে ক্ষমা চেয়ে, আগামী দিনে এই কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।