ইন্দ্রানী সেন,বাঁকুড়া: শাসক দল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যানের দূর্নীতির বিরুদ্ধে আবারো পোষ্টার। এবার সরাসরি নাম জড়ালো বিজেপির।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো ‘বিজেপি নগর মণ্ডল’ নামাঙ্কিত ঐ পোষ্টারে সরাসরি পৌরপ্রধানের নামে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে গত তিন বছরে ‘না খেতে পাওয়া পৌরপিতার বাড়ি, গাড়ি হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি একটি নামী স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার গহনা তৈরী কার স্বার্থে হয়েছে বলে জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন অংশে এই পোষ্টার দেখতে পাওয়ার পর সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কৃষ্ণ ঘোষ নামে শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন;” কাউন্সিলর বুম সাহা সরকারী প্রকল্পে বাড়ির তৈরী করে দেওয়ার নামে ৫৮ হাজার টাকা নিয়েছিল। একটি বাড়ি হলেও আর একটি হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি।” এই অবস্থায় তিনি হয় বাড়ি না হয় টাকা ফেরৎ চাইছেন বলে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জানান।
অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান যদি নিজেকে ‘সৎ’ মনে করেন, তাহলে পোষ্টার দেওয়ার বিরুদ্ধে উনি আমাদের নামে ‘মামলা করুন’। দলের নগর মণ্ডল সভাপতি তাপস মিত্র বলেন,” প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে পানীয় জল সব ক্ষেত্রেই ওরা কাটমানি খেয়েছেন।” টাকা ফেরত না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের করবে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের নানাভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ এনে লোকসভা ভোটের রায়ের পরিপ্রেক্ষতিতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে তার দাবী।
বিজেপির দাবীকে সমর্থণ জানিয়েছে সিপিএমও। সিপিএম নেতা মনোজ চক্রবর্ত্তীর দাবী,”কাটমানি নেওয়ার খবর তাদের কাছেও আছে। আগে তৃণমূলের একাধিপত্য থাকায় কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়নি।”এলাকায় ব্যাপক ভাবে দূর্নীতি হয়েছে বলেও সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন।
সোনামুখীর চেয়ারম্যান সুরজিৎ মুখার্জ্জীর কথায়,”রাতের অন্ধকারে গোপন পোষ্টারের কোন মূল্য হয়না। সন্মান হানির জন্য আইনী লড়াইয়ে যাব।বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে পৌরসভার চেয়ারম্যান বলেন,” এক টাকার দূর্ণীতি কেউ প্রমাণ করতে পারলে সোনামুখী শহর ত্যাগ করবো।”