বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি যত উন্নতি হচ্ছে ততই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার হামলার (Cyber Attack) মতো ঘটনা। শুধু তাই নয়, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতারণার ক্ষেত্রে নিত্যনতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে প্রতারকেরা। আর সেই কারণেই প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, Check Point Software Technologies Ltd-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে সাইবার হামলার এই ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে।
সাইবার হামলার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে: ওই রিপোর্টে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। রিপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার ঘটনা ২৮ শতাংশ বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২,৮০৭ টি হামলার সম্মুখীন হয়েছে। এই হামলার বিষয়টি প্রতি বছরে ৩৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ভয়াবহ পরিসংখ্যানের পাশাপাশি, ভারত বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু তথা “টার্গেট”-এ পরিণত হয়েছে।
সাইবার হামলার টার্গেট এই ক্ষেত্রগুলি: রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত এই আক্রমণগুলি ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে শিক্ষা/গবেষণা, সরকার/সামরিক এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এর পাশাপাশি হার্ডওয়্যার বিক্রির শিল্পের ক্ষেত্রেও বছরে সাইবার আক্রমণ ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে, আফ্রিকায় এই আক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, উত্তর আমেরিকা র্যানসমওয়্যার আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ভারতে সফরে আসছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট! তার আগেই সামনে এল মুইজ্জুর “বিষাক্ত পদক্ষেপ”
জানা গিয়েছে যে, আনুমানিক ১,০০০ টি র্যানসমওয়্যার আক্রমণের মধ্যে ৫৯ শতাংশ উত্তর আমেরিকায় ঘটেছে। এরপরে রয়েছে ইউরোপ (২৪ শতাংশ) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক (১২ শতাংশ)। এদিকে, র্যানসমওয়্যার হামলার ক্রমবর্ধমান ঘটনায় ইউরোপের নামও সামনে এসেছে। ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইউরোপে র্যানসমওয়্যার আক্রমণ ৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: লাগবেনা কোনো খরচ! নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন যত খুশি ইন্টারনেট, সরকার দিচ্ছে Free Wi-Fi
ওয়েবের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে ম্যালওয়্যার ফাইল: এবারে আমরা যদি ভারতের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ম্যালওয়্যারগুলির মধ্যে রয়েছে ফেকআপডেট, বটনেট এবং ডাউনলোডার, রিমোট অ্যাক্সেস ট্রোজান (RATs), বটনেট এবং ডেটা স্টিলার। ভারতে অর্ধেকেরও বেশি ম্যালওয়্যার ফাইল গত ৩০ দিনে ওয়েবের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিমোট কোড এক্সিকিউশন একটি সাধারণ পদ্ধতি। যার কারণে দেশের ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।