বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিবছরই একাধিক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয় ভারত। তছনছ হয়ে যায় বাংলায় উপকূলীয় অংশগুলিও। আয়লা,আমফান, ইয়াসের স্মৃতি এখনও টাটকা দেশজুড়ে। এরই মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় অশনি। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২১ মার্চ বঙ্গোপসাগরে উপকূলে আছড়ে পড়বে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ২১ তারিখই আন্দামান উপকূলে আছড়ে পড়বে অশনী। আছড়ে পড়ার সময় ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগ থাকলেও ধীরে ধীরে ক্ষতি হারিয়ে সেটি ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে অগ্রসর হবে। আন্দামান থেকে ঝড়টি অগ্রসর হবে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের দিকে। খানিক শক্তি ক্ষয় হলেও এই দুই দেশে প্রবেশের সময়ও যথেষ্ট শক্তিশালীই থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি। ফলে দুই দেশেই ক্ষয়ক্ষতির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্দামানের উপর দিয়ে উত্তরে বয়ে যাওয়ার আগে আগামী ২০ মার্চ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে নিম্নচাপটি। ২১ মার্চ সোমবার ভোরবেলার মধ্যেই তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তারপর উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ২২ মার্চ সম্পুর্ণরূপে স্থলভাগে প্রবেশ করবে এটি।
তবে এ যাত্রায় বেঁচে যাবে বাংলা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়বে না পশ্চিমবঙ্গ বা সংলগ্ন জেলাগুলিতে। আগামী ৫ দিন শুকনোই থাকবে বঙ্গের আবহাওয়া। প্রথম ২ দিন তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তারপর খুব একটা হেরফের হবে না আবহাওয়াতে। তবে আগামী দুদিনের মধ্যেই ৪০° সেলসিয়াস ছোঁবে পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা। আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম থাকায় থাকবে শুষ্কতাজনিত অস্বস্তি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৭° এবং ২৪° সেলসিয়াস।