চলবে তাণ্ডব! ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে ‘বিপর্যয়’, ভারতের এই সকল রাজ্যে সতর্কতা জারি IMD-র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাড়ছে উদ্বেগ! আরব সাগরের বুকে তৈরী হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy)। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতেই আরও শক্তি বৃদ্ধি করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (Extremely Severe Storm) পরিণত হয়েছে। আর আজ আরও শক্তিশালী রূপ ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশের নাম করা হলেও এই ঘূর্ণিঝড় অশনিসংকেত নিয়ে আসছে এদেশের বুকেও।

জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানে নয়, বরং ভয়ঙ্কর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হতে পারে গুজরাটের কচ্ছে (Kutch)। জাতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের মান্ডবি এলাকা এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

cyclone

ইতিমধ্যেই গুজরাতের কচ্ছের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। রবিবার রাত থেকেই ভারতের উপকূলবর্তী এলাকায় ‘বিপর্যয়’ এর হালকা প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার দরুন বিক্ষিপ্ত অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও ছিল।

সেই সময় আবহাওয়া এতটাই খারাপ ছিল যে রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বই বিমানবন্দরের একাধিক বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন দুপুরের দিকেই সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ‘বিপর্যয়’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে প্রবেশ করার পর যত গভীরে এগোবে, ততই শক্তিক্ষয় হতে থাকবে।

১৫ জুন দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা থাকলেও, সে দিন দুপুরেই গুজরাটের মাণ্ডবী ও পাকিস্তানের করাচির মাঝখান থেকে ‘বিপর্যয়’ অতিবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত রবিবার রাত থেকেই গুজরাটে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।সমুদ্র বন্দরগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর