বাংলা হান্ট ডেস্ক :-৩রা মে থেকে শুরু করে ৬ই মে পর্যন্ত যে ঝড়টি ক্রমাগত বয়ে চলবে তার নাম হঠাৎ ‘ফণী’ রাখা হল কেন? সাইক্লোন,হ্যারিকেন, টাইফুনের মতো বিভিন্ন ধরনের ঝড়কে নাম দেওয়ার যে রীতি, সেটি শুরু হয়েছিলো গত ১০০ বছর আগে থেকেই ৷ ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের আদি বাসিন্দারা এই রকম ঝড়ের নাম দিতেন।ঝড় দেখা দিলেই যে নামকরণ করা হবে, তা একদমই নয়। বিভিন্ন ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মাইল বা তারও বেশি হলে তখনই তাদেরকে চিহ্নিত করা হয় টাইফুন, হ্যারিকেন বা সাইক্লোন নামক এই সমস্ত বিধ্বংসী ঝড় হিসেবে।
আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরী হওয়া ঘূর্ণি ঝড়কে বলা হয় ‘হারিকেন’, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে জন্ম যে কোনো ঝড় ‘টাইফুন’ আর ভারত মহাসাগরের বুকে জন্ম নিলে সেই ঘূর্ণায়মান ঝড় কে বলা হবে ‘সাইক্লোন’। ফণী হলো ঠিক এমনই একটি সাইক্লোন ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মার্কিন আবহাওয়া বিশারদরা এই ঝড়ের নামকরণ করা শুরু করেন৷ ১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় ইংরেজী বর্ণমালার ক্রমানুযায়ী। তবে সেখান থেকে বাদ পরে Q U X Y ও Z এই পাঁচটি বর্ণ।
শুনলে হতবাক হয়ে যেতে হয় যে,প্রথম প্রথম সব ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মেয়েদের নামানুসারেই হতো।তবে গত শতকে নারীরা এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিভিন্ন নারীমুক্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নামকরণের ব্যপারে আন্দোলন চলার ফলে এই প্রথা বন্ধ হয়। এর পর থেকে ঠিক হয় জোড় সংখ্যার বছরগুলিতে বিজোড়সংখ্যার নামকরণ হবে তাও সেটি পুরুষের নামে এবং বিজোড় সংখ্যার বছরে, বিজোড় সংখ্যার ঝড়ের নাম দেওয়া হবে মহিলাদের নামের নামকরণে৷