বাংলাহান্ট ডেস্ক : চোখ রাঙাচ্ছে সাইক্লোন ‘শক্তি’ (Cyclone Shakti)। পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও চলছে। যদিও আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেল এবং আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, আরব সাগরে তৈরি হওয়া সিস্টেমটি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে প্রবেশ করেছে স্থলভাগে। তবে এই নিম্নচাপ আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Shakti) পরিণত হতে পারবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে আবহাওয়াবিদদের।
মঙ্গলবারেই শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে সাইক্লোন শক্তি (Cyclone Shakti)?
আবহাওয়া মহল সূত্রে খবর, এই সিস্টেম থেকে যতটা জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগরের দিকে আসার কথা ছিল ততটা আসেনি। তাই বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের উপরে নির্ভর করেই মঙ্গলবার তৈরি হতে চলেছে নিম্নচাপ। সঙ্গে অবশ্য দোসর হিসেবে আছে মৌসুমী বায়ু। তবে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ হিসেবে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে এই সিস্টেম।
তিনদিন ধরে চলবে তাণ্ডব: যদিও মঙ্গলবার অমাবস্যা থাকায় এদিনই শক্তিবৃদ্ধির (Cyclone Shakti) সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। যেমনটা জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর অমাবস্যার দরুণ লো প্রেসারকে কাজে লাগিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করবে সিস্টেমটি। ২৮ এবং ২৯ মে শক্তিবৃদ্ধি করে ফরমেশন সম্পূর্ণ করে ওড়িশার ভদ্রকের দিকে এগোতে পারে নিম্নচাপটি। তারপর কয়েকবার গতিপথ পরিবর্তন করে শেষমেশ বাংলাদেশের মংলা এবং ক্ষেপুপাড়ার কাছে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
আরো পড়ুন : ‘মা আমি চুরি করিনি’, সুইসাইড নোটে হাতের লেখায় গরমিল? পাঁশকুড়া কাণ্ডে নয়া মোড়
প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা: নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপকে সমান্তরালে অতিক্রম করতে পারে। এর জেরে উপকূলীয় অঞ্চলে ২৮ থেকে ৩০ মে এর মধ্যে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের (Cyclone Shakti) সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঘন্টায় ৫০-৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। কখনো কখনো তা ৯০ কিমিও ছুঁতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় ৩৫-৫৫ কিমি বেগে ঝড় হবে।
আরো পড়ুন : যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যই শেষ কথা, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের উত্তরবঙ্গে তিনটি রুটে এসি বাস চালু এনবিএসটিসি-র
পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আঞ্চলিক ভাবে মিনি টর্নেডো দেখা যেতে পারে। হাইলাইট অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, গোসাবা, ক্যানিং, বাসন্তী, ডায়মন্ড হারবার, ফলতার মতো জায়গাগুলি।