বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তৃণমূলকে (Trinamool Congress) তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাধারণ মানুষের করের টাকায় রাজ্য সরকার হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা লড়ছে। সোমবার বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, গত ২ বছরে সাধারণ মানুষের করের ২৯২ কোটি টাকা মামলা লড়তে খরচ করেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার বিধানসভার সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি ও বিরোধী দলনেতাকে জেলে ঢোকানোর জন্য এই ২ বছরে ৩৩০ কোটি টাকা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ২৯২ কোটি টাকা আমাদের কর্মচারী – পুলিসকর্মী, এদের DA মেরে এক্সচেকার থেকে দিয়েছে।
এদিন শুভেন্দু আরও অভিযোগ করেন, ‘৩৮ কোটি টাকা তৃণমূল কংগ্রেস তার ইলেক্টোরাল বন্ডের টাকা থেকে মিটিয়েছে। ২৯২ কোটি টাকা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থ দফতর থেকে মনোজ পন্থ দিয়েছেন। আইনজীবীর বকেয়া মেটানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের টাকায়।’
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের বিরুদ্ধে করের টাকায় রাজ্য সরকারের মামলা লড়ার বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, দলের নেতাদের বাঁচাতে সাধারণ মানুষের করের টাকা দলীয় কাজে ব্যবহার করছে তৃণমূল। এভাবে করের টাকার অপচয় হচ্ছে বলে অভিযোগ নন্দীগ্রামের সাংসদের। এবার একেবারে হিসাব নিয়েই তার প্রমাণ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা কেন্দ্র সরকারকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্পের নাম বদল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালাকে তিন পাতার প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, পিএমএমএসওয়াই প্রকল্পকে রাজ্যে বাংলা মৎস্য যোজনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মোট পাঁচটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বদল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু।