বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষ হতে চললেও পূরণ হল না ডিএ-র দাবি। গতবার অ্যালেন পার্কে ক্রিসমাস অনুষ্ঠানের সূচনার অনুষ্ঠানে এসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির (Dearness Allowance) ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবারেও সবাই সেই দিকে চেয়ে থাকলেও তেমন কিছুই হয়নি। জুটেছে খালি হতাশা। এই আবহে মুখ খুললেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার তিন বছরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার প্রেক্ষিতে সরকার তরফে জানানো হয়েছিল বকেয়া ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। অথচ এই বকেয়া ডিএ কর্মচারীদের হকের পাওনা।’
কটাক্ষ করে মলয়বাবু আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হকের ডিএ না দিয়ে এই সরকার ডিএয়ের টাকা লক্ষ্মী ভাণ্ডার-সহ খেলা-মেলায় খরচ করছে। আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি ডিসমিস করলে আমরা ডিএ আদায় করেই ছাড়ব।’
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ পাওয়ার আরও সম্ভাবনা নেই’। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন:ভরা পৌষেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি! আবার কবে শুরু শীতের ইনিংস? রইল আবহাওয়ার আগাম আপডেট
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই ডিএ বৃদ্ধি পেয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। চলতি বছর দু’বার ডিএ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য। আগে ৬ শতাংশ করে ডিএ পাচ্ছিলেন সরকারি কর্মীরা। ডিসেম্বরের ঘোষণা অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল রাজ্যের কর্মীদের। এপ্রিলে ফের আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল।