‘পুলিশের হাত, পা, মুখ বেঁধে ভোট করাতে পাঠানো হয়’, বিস্ফোরক খোদ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। বহু কল্পনা-জল্পনার পর অবশেষে গতকাল পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরই নানা ইস্যু নিয়ে শোরগোল বঙ্গ জুড়ে! আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল গোটা রাজ্যে এক দফায় হতে চলেছে নির্বাচন।

একদিনে ভোট, তাও আবার রাজ্য পুলিশ দিয়ে?নিরাপত্তা দেওয়া কি আদেও সম্ভব? এই রকমই একাধিক দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। সেই পথেই এগোচ্ছে বিজেপিও। আর এবার একই দাবি তুলে সরব ডিএ আন্দোলনকারী (DA Agitators) রাজ্য সরকারি কর্মীরা।

আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আর এবার সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিনা পঞ্চায়েত ভোট নয়। এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে ফের ডেপুটেশন দেবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের বক্তব্য, ভোট কর্মী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তাদের।

এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “নির্বাচন কমিশন যদি এই স্ট্যান্ড রাখে তবে আমাদের স্ট্যান্ডটাও খুব পরিষ্কার যে আমরা ভোট দিতে যাবনা। কাকে দিয়ে ভোট করাবেন সেটা ওনারা ঠিক করে নিন। আমাদের পক্ষে ভোট দিতে যাওয়া সম্ভব নয় কারণ যেসব পুলিশ কর্মীদের পাঠানো হয় তারাও আমাদের সহকর্মী। আমরা তাদের লড়াইটাও এখানে লড়ছি।”

mamata vote

তার মতে, “আমারা ভালো করে জানি তাদের হাত, পা মুখ বেঁধে পাঠানো হয়। কোনও স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। যদি স্বাধীনতা দেওয়া হয়, যদি তাদের মতো করে ডিউটি করতে দেওয়া হয় তাহলে তাদের ওপর আমাদের ভরসা আছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতা দেওয়া হবে না বলেই আমাদের দাবি যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে তবেই ভোট হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সব থেকে বড় কথা একই দিনে যদি গোটা রাজ্যে ভোট হয় তবে সব বুথে নিরাপত্তা দেওয়ার মতো পুলিশকর্মী এ রাজ্যে নেই।” যদিও এসব দাবি, অভিযোগ নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই শাসকদল তৃণমূলের।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর