বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৫ ফেব্রুয়ারির পর ১৮ মার্চ, ফের পিছিয়েছে ডিএ মামলার (DA Arrear Case) শুনানি। সোমবারও সময়ের অভাবে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়নি। ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল এই মামলা। তবে সময়ের অভাবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ মামলার শুনানি হতে পারেনি। এই আবহে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ভাবনা শুরু করল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
বর্তমানে শীর্ষ আদালতে পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যে মামলা চলছে তার সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের (WB Government Employees) সংশ্লিষ্ট সংগঠন যুক্ত নেই। তবে গতকাল ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা, সম্প্রতি একথা জানান সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক নেতা।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতামত চাওয়া হয়েছে বলে খবর। যদি তাঁদের তরফ থেকে ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যায়, তাহলে শীর্ষ আদালতে চলতে থাকা ডিএ (Dearness Allowance) মামলার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই নেতা।
আরও পড়ুনঃ ‘মমতার সঙ্গে…’, কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন? এবার সবটা ‘ফাঁস’ করলেন কবীর সুমন
প্রসঙ্গত, সোমবারের আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলার শুনানি ছিল। তবে সেদিন সময়ের অভাবে শুনানি হয়নি। সোমবার সুপ্রিম-শুনানির আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তবে গতকালও এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। সেই ২০১৬ সাল থেকে ডিএ (DA) নিয়ে চলছে টানাপোড়েন! প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরপর হাই কোর্ট হয়ে বর্তমানে সেই মামলা এসেছে সুপ্রিম কোর্টে।
এদিকে গত ১৪ মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রায় ১১% মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে তাতে খুশি নয় সরকারি কর্মীদের একাংশ! তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে। বর্তমানে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন ৫০% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অপরদিকে আগামী মে মাসে ৪% ডিএ বৃদ্ধির পর রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দাঁড়াবে ১৪ শতাংশে। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক, এটাই দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের।