বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। নতুন বছরের শুরুতেই শীর্ষ আদালতে উঠবে বহু প্রতীক্ষিত বাংলার ডিএ মামলা (DA Case)। সকলের নজর এখন সাত তারিকের দিকে। এরই মাঝে বড় মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণির কর্মচারী বলে বেড়াচ্ছেন সরকার কিছুতেই ডিএ দেবে না। বলি, আইন-আদালত এবং সংবিধান যদি থেকে থাকে সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, মূল্যসূচক মেনে কেন্দ্রীয় সরকার যে হারে এবং যে নিদিষ্ট সময় থেকে মহার্ঘভাতা ঘোষনা করে থাকেন সাধারণত রাজ্যগুলিও সেই পথ অনুসরণ করে থাকেন। বিগত বেতন কমিশনগুলির সুপারিশে তা উল্লেখ আছে।’
‘এবারের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টেও তার উল্লেখ আছে, কিন্তু সরকার সেই রিপোর্ট কিছুতেই প্রকাশ করছেন না। বিশ্বস্ত সূত্র মারফত আমরা তা জানতেও পেরেছি। ফলে আজও মাননীয়ার ইচ্ছার উপর ডিএ নির্ভর করছে। কিন্তু তা তো হওয়ার কথা ছিল না। কারণ ২০১১ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে বলা ছিল, ক্ষমতায় এলে, সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করা বাম বঞ্চনার আশু সমাধান করা হবে।’ বললেন মলয়বাবু।
রাজ্য সরকারকে নিশানা করে মলয়বাবু বলেন, ‘তৃণমূলের সেই প্রতিশ্রুতি সব উধাও৷ ফলে কেন্দ্র সহ অনান্য অধিকাংশ রাজ্যের বর্তমান মহার্ঘভাতা যেখানে ১৮ কিস্তি বা ৫৩ শতাংশ, সেখানে এই রাজ্যে তা ৪ কিস্তি বা ১৪ শতাংশ। এই আবহে আগামী ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি আমাদের নজর থাকবে সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার অগ্রগতির দিকে।’
আরও পড়ুন: রাজ্যের স্যাংশন কি লাগবে? সন্দীপকে নিয়ে সামনে বড় তথ্য! আরজি কর দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়?
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে এখন পশ্চিমবঙ্গের যে ডিএ মামলা চলছে, সেটা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।
হাইকোর্টের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।