বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষ হতে চললেও মামলার জট খুললো না। এখনও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝুলে রয়েছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা (Dearness Allowance)। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে। সেই দিনের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। এরই মাঝে সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি ডিএ মামলা উঠতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেই মামলার কজলিস্ট এখন আমরা পাব না। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ হয়ে যেতে পারে তা পেতে। নয়তো জানুয়ারির ২ তারিখে সেটি মিলবে। কারণ এর মাঝে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোর্ট বন্ধ। ২ তারিখ আদালত ফের খুলবে। আর ৭ তারিখ আমাদের মামলা রয়েছে।’
মলয়বাবুর কথায়, ‘১৫ জুলাই আমাদের মামলার যে ১৩তম শুনানি হয়েছিল, তারপর প্রায় ৬ মাস… শুনানির তারিখ এত দেরিতে কেন মিলল, মামলাটি কেন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর কেন করা হচ্ছে তা আপনাদের আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। অনেকেই নিজেদের মতো বিচার বিশ্লেষণ করছেন। আমরা খবর নিয়েছিলাম, যে একটা মামলার ডেট সর্বোচ্চ কতদিন পর দেওয়া যায়। তখন জানতে পারি, ৬ মাস।’
‘আমাদের মামলার ক্ষেত্রে ১৫ জানুয়ারি ডেট পড়লে, দুই শুনানির মাঝে ৬ মাস সময় হয়ে যেত। তবে তার ঠিক ৭ দিন আগে শুনানির পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয়েছে।’ বলেন মলয়বাবু। পাশাপাশি তিনি আশা করছেন মামলাটি ওই দিনই উঠবে। উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস ভাট্টির এজলাসে মামলাটি উঠতে চলেছে। মামলাটি নন-মিসসেলিনিয়াস হিসেবে আছে বলে জানিয়েছেন মলয়বাবু।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার এই মামলার সঙ্গে অন্যন্য ভাতার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছিল। মামলাটি ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ পর্যায়ে ছিল। গত ১৫ জুলাই ডিএ মামলার (DA Case) শুনানির পর আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছিল, এই মামলার আবেদনের বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আজ বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গ! কোন জেলা কখন ভিজবে? এক নজরে আবহাওয়ার খবর
বাংলার ডিএ মামলার জন্য জানুয়ারির মাসের ৭ তারিখের দিনটি ধার্য করেছিলেন জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টি। এরপর একেবারে ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের উঠতে চলেছে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা। তাই আপাতত সকলে রাজ্য সরকারি কর্মীকে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী বছরের দিকে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে।