‘DA বৃদ্ধিতে আর কোনো সমস্যা..,’ বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীপাবলির আগেই সরকারি কর্মীদের (Government Employees) ডিএ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকে কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটে একের পর এক রাজ্যও সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে। এরই মাঝে মধ্যপ্রদেশে সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা বৃদ্ধি (Salary Allowance) ইত্যাদিতে নানা সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। চাকরি শেষের পর পেনশন প্রদানেও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছিল। এই আবহে এবার রাজ্যের ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট সবটা পরিষ্কার করলেন।

সম্প্রতি ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস দফতরের কমিশনার এবং পেনশন ডিরেক্টরেট বলেন, ডিএ, বেতন বৃদ্ধিতে বিলম্ব হচ্ছে কারণ কর্মচারীদের ডেটা আপডেট হয়নি তাই। অবিলম্বে এই সমস্যা দূর করতে কর্মচারীদের তথ্য আপডেট করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে বিভাগীয় প্রধানদের এই বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

কর্মচারীদের কি কি ডেটা আপডেট করতে হবে? জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকারি কর্মীদের সকলকে নিজের জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, বিভাগে নিয়োগের তারিখ এবং কর্মচারী- কর্মকর্তা সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট করে রাখতে হবে। এরপর সেই সব ডেটা যাবে ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কমিশনার এবং পেনশন অধিদফতরে।

জানানো হয়েছে সমস্ত ডেটা সঠিকভাবে এন্ট্রি হয়ে গেলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা, মহার্ঘ ভাতা, বেতন বৃদ্ধি এবং পেনশন সংক্রান্ত যেসকল সমস্যা রয়েছে তা মিটে যাবে। IFMIC পোর্টালে সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সমস্ত রেকর্ড রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

dearness allowance

আরও পড়ুন: দেরিতে হলেও অবশেষে বাড়ল DA, কত মহার্ঘ? সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর

সকল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডেটা আপডেটেড থাকা প্রয়োজন। পরিষেবা রেকর্ড সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে যে পরিষেবার রেকর্ড বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের। ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে। যেখানে রেকর্ডের ভিত্তিতে ডেটা আপডেট করা হয়। নয়া পদ্ধতিতে সরকারি কর্মচারীদের আর কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর