বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে বহুদিন থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees) একাংশ। বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪% করে ডিএ পাচ্ছেন তারা। যদিও তাতে একেবারেই খুশি নন বাংলার সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ডিএ নিয়ে তাদের মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহেই এবার কপাল খুলল অপর এক রাজ্য সরকারি কর্মীদের। সম্প্রতি সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) প্রদানের নির্দেশ
দিয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তরা মহার্ঘ ভাতা ডিএ ১১৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১১৯ শতাংশ করার আর্জি জানিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করেছিল। সেই সবার প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের রায়, সকলকে বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতাপ্রদান করতে হবে।
হাইকোর্টের সাফ নির্দেশ, বেতনক্রম পরিবর্তন নিয়ে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই সেই বর্ধিত হারে ডিএ দিতে হবে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট।
মামলাকারী সরকারি কর্মীদের দাবি ছিল তাদের মহার্ঘ ভাতা ১১৩ শতাংশের পরিবর্তে ১১৯ শতাংশ প্রদান করা হোক। সেই দাবি মেনে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী চার মাসের মধ্যে এরিয়ার-সহ সংশোধিত পেনশন দিতে হবে কর্মীদের। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা ১১৩ শতাংশ হারে ডিএয়ের পরিবর্তে ১১৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার অধিকারী।
আরও পড়ুন: ভাঙবে সব রেকর্ড! আজ অতিভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায়, কবে মিলবে রেহাই? আবহাওয়ার খবর
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বেতন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করে নেওয়া হয়েছিল। তা সার্বিকভাবে কার্যকর করতে হবে। নাহলে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারির পরে অবসর নেওয়ার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। ওদিকে রাজ্য সরকার ২০১৫ সালের ১ জুলাই মাস থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএয়ের হার বাড়িয়ে ১১৯ শতাংশ করার বিষয়টি মেনে নিয়েছিল। তবে রাজ্যের দাবি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।