বাংলা হান্ট ডেস্ক: সরকারি কর্মীরা দেখা পায়নি ডিএর,বাড়েনি বেতন। দীর্ঘদিন সরকারি কর্মচারীরা শুধু হকের দাবি করে গেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ডিএ প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের এই দাবিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলেছিলেন। তারপর পেরিয়ে গেছে বেশ খানিকটা সময়। ১৫% ডিএ বাড়িয়ে সরকারি কর্মীদের সমর্থন পায়নি মমতা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,তৃণমূলের এই খারাপ ফলে অনেকটাই প্রভাব রয়েছে ডিএ বা মহার্ঘ্যভাতার। ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা সরকারি কর্মচারীদের বিষিয়ে দিয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা ডিএর দায় দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বলেন,ডিএ দয়ার দান নয় সরকারি কর্মচারীদের হকের দাবি। এ কথা বলার পরও রাজ্য সরকার স্যাট এ বিরোধীতা করেন।তাছাড়া অনেকে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রীর “ঘেউ ঘেউ” মন্তব্যে অপমানিত হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।
সরকারি কর্মীদের অনেকের দাবি বনধ সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের বাড়াবাড়ি অনেকটাই ইন্ধন যুগিয়েছে। যে কোন দল বন্ধের ডাক দিলেই সরকারি কর্মচারীদের ওপর কড়াকড়ি শুরু হত। বন্ধ ব্যর্থ করতে সরকারি কর্মচারীদের ১০০% উপস্থিতি থাকার নির্দেশ না দেওয়া হত। উপস্থিত না থাকলে চাকরি নিয়ে চলতো টানাপোড়েন।এমনকি নিচু তলার কর্মচারীদের ইউনিয়ন করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সরকারি কর্মচারীরা মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়বাড়ন্তই তাকে ভাটায় ফেলেছে।
বাম সংঘটন কো অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ বলেন, ” রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাকি ৪১ শতাংশ। পে কমিশন নিয়ে অযথা টালবাহানা এবং তৃণমূলের যে ৮ বছরের শাসন চলছে তার প্রতিফলন ভোটবাক্সে পড়েছে। কর্মচারীরা মনে করছেন তৃণমূলকে রুখতে গেলে বিজেপিকে আনতে হবে তাই এই ফল।