বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অগস্ট থেকে অক্টোবর! এখনও আর জি কর (RG Kar) ইস্যুতে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। আর যার তেজ সবথেকে বেশি মহানগরীর রাজপথে। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ক্রমাগত চলছে আন্দোলন। সামিল হয়েছে রাজ্যের সকল শ্রেণীর মানুষ। আরজি কর কাণ্ডে ডাক্তারদের আন্দোলনে প্রথম থেকেই তাদের পাশে থেকেছে ডিএ আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। যেমন তারা বিচারের দাবিতে মিছিলে হেঁটেছেন, তেমনই চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনেও বসেছেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনশনে বসেছিলেন ভাস্কর ঘোষরাও। এখন যেমনটা করছেন আর আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে ডাক্তাররা। সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের আওয়াজ তুলেছেন তারাও। ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এরই মাঝে এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বড় কথা বলে দিলেন।
রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাস্করবাবু বলেন, ‘আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’। স্পষ্ট ভাষাতেই তিনি বলেন, ‘এই আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে কেউ যদি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হল আমাদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।’
এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবাদে নেমে আমাদের একজনকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। নেতৃত্বের নামে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দুই নেতাকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে এক্কেবারে সিক্কিমের পাশে বেআইনি ভাবে বদলি করা হয়েছে। সমস্ত কিছু বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।’
আরও পড়ুন: ফেঁসে গেলেন সন্দীপ? ডিলিট করা সব কিছু পেয়ে গেল CBI! আরজি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়?
পাশাপাশি ডিএ প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের সাথে রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) বকেয়া মহার্ঘ ভাতার যে ফারাক দিন দিন বাড়ছে, সেটার বিরুদ্ধেও আমাদের আজকের প্রতিবাদ।’ তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত দফতরে থ্রেট কালচার রয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে তা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। ভাস্করবাবুর কথায়, ‘ জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেল। এই গোটা ঘটনায় যেটা সব থেকে বেশি বেদনাদায়ক মনে হয়েছে, তা রাজ্য সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতা।’ আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সহমর্মিতার কথা জানিয়েছেন তিনি।