বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাঙালি মাত্রেই বিরিয়ানি প্রেমী। আর কলকাতার বিরিয়ানি হলে তো কথাই নেই! দেশের বিভিন্ন প্রান্ত অনেক ধরনের লোভনীয় বিরিয়ানি মিললেও বাংলার বাইরে স্পেশ্যাল আলুটা মিস করেন অনেক বাঙালিই। আবার খাস কলকাতায় না হলেও বিরিয়ানির জন্য জনপ্রিয়, এমন দোকানও অনেক রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি (Dada Boudi Biryani)।
বছরের পর বছর ধরে বাঙালির রসনা তৃপ্ত করে আসছে দাদা বৌদির বিরিয়ানি। এই দোকানের জন্য ভোজন প্রেমীদের কাছে আলাদা পরিচয় রয়েছে ব্যারাকপুরের। দাদা বৌদির বিরিয়ানির ভক্ত কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও (Sourav Ganguly)। ব্যারাকপুরে গেলে বিরিয়ানি কিনে বাড়ি ফিরতেন তিনি।
একবার ‘দাদাগিরি’র (Dadagiri) মঞ্চে এসেছিলেন দাদা বৌদির বর্তমান কর্ণধার। সেখানেই ফাঁস হয়েছে একাধিক তথ্য। বিরিয়ানির দোকানের এমন নাম কেন? এই দাদা বৌদি কারা? কর্ণধার জানান, এই নাম কিন্তু তাঁদের দেওয়া নয়। নাম রেখেছিলেন গ্রাহকরা।
আসলে দাদা বৌদির বিরিয়ানি তো আজকের নয়। বর্তমান কর্ণধার জানান, বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এই দোকান। তাঁর মা বাবা প্রথম শুরু করেছিলেন বিরিয়ানির দোকান। সেটা ৩০ বছর আগে। তখন ৩ কেজি মাংসের বিরিয়ানিও সম্পূর্ণ বিক্রি হত না। আর এখন প্রায় ৫০০ কেজি মাংসের বিরিয়ানি তৈরি হয় এক এক দিনে। সব বিক্রি হয়ে যায়।
শুধু ব্যারাকপুরে নয়, কলকাতা ও অন্যান্য জায়গা থেকেও মানুষ যায় দাদা বৌদির বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। সৌরভ জানান, তিনি নিজেই কল্যাণী থেকে খেলে ফেরার পথে দাদা বৌদির বিরিয়ানিতে গিয়েছিলেন। বিরিয়ানি কিনে আর লোভ সামলাতে পারেননি। খেতে খেতেই বাড়ি ফিরেছিলেন। দাদা বৌদির কর্ণধার সৌরভকে ব্যবসায় অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দিলে দাদার মজার মন্তব্য, “আমি তো একাই সব বিরিয়ানি খেয়ে নেব।”
বিরিয়ানির প্রতি ভালবাসার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে মহারাজের মুখে। খাদ্য রসিক হলেও এখন স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকটাই লাগাম টানতে হয়েছে তাঁকে। তবে দাদাগিরির মঞ্চে কেউ লোভনীয় খাবার দাবার নিয়ে এলে চেখে দেখতে ভোলেন না সৌরভ।