বাংলাহান্ট ডেস্ক: এবারের মতো সিজন শেষ করে বিদায় নিয়েছে ‘দাদাগিরি’ (Dadagiri)। কিন্তু কিছু প্রতিযোগীদের এখনো মনে রেখে দিয়েছে দর্শরা। তাদের মধ্যেই একজন অনির্বাণ নন্দী (Anirban Nandy)। লম্বা চওড়া, বেশ গোলগাল চেহারার অনির্বাণ। মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি। তবে প্রিয় ক্লাব মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই মুখের হাসি বদলে যায় গনগনে রাগে।
একাধাক বার দাদাগিরির মঞ্চে দেখা অনির্বাণকে। সরল ব্যবহার মিষ্টি হাসি দিয়ে সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অনির্বাণ ওরফে অ্যানি। কিন্তু তিনিই এখন পড়েছেন গভীর সঙ্কটে। কঠিন অসুখের সঙ্গে লড়াই করছেন অনির্বাণ। দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছে তাঁর। হাতে সময় নেই, দরকার বিপুল পরিমাণ টাকা। এমতাবস্থায় বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব এবং ফ্যানপেজগুলি অনির্বাণের হয়ে সাহায্য চেয়ে মাঠে নেমেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অনির্বাণের হাতে আর মাত্র পাঁচ মাস সময় বাকি। প্রতিস্থাপন করতে হবে দুটো কিডনিই। নয়তো ঘটতে পারে প্রাণ সংশয়। বাবা মা চলে গিয়েছেন আগেই। একা অনির্বাণের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়। মুখের মিষ্টি হাসি ঢেকেছে বিষাদে।
অনির্বাণ জানান, তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ১৫-১৬ লক্ষ টাকা দরকার। এখনো পর্যন্ত তেমন সাহায্য তিনি পাননি। কিন্তু আদ্যন্ত ফুটবলপ্রেমী অ্যানিকে বাঁচাতে চেষ্টার কোনো কসুর করছেন না তিনটি ফুটবল ক্লাবের সমর্থকেরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমানে সাহায্য চেয়ে শেয়ার করা হচ্ছে পোস্ট। এমনি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিসিসিআই সভাপতি তথা দাদাগিরি সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছেও খবরটি পৌঁছানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আপনি যদি ফুটবল প্রেমী হন কিংবা দাদাগিরির দর্শক, তাহলে অনির্বাণকে চিনতে সময় লাগবে না। মোহনবাগানের অন্ধ ভক্ত তিনি। ঝড় জল করোনা উপেক্ষা করে প্রিয় ক্লাবের প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকেন তিনি। দাদাগিরিতেও গলা ফাটিয়ে গিয়েছেন সবুজ মেরুনের হয়ে। প্রাণবন্ত অ্যানি অসুস্থতা কাটিয়ে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়ে আবার গ্যালারিতে ফিরে আসুন, প্রত্যেক ফুটবল ভক্তের কামনা এখন এটাই।