বাংলাহান্ট ডেস্ক: জি বাংলা চ্যানেলে সম্প্রচারিত দাদাগিরি অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয় বাংলার দর্শকদের কাছে। এখন এই অনুষ্ঠানের দশম সিজন চলছে। এই সিজনে যে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেছেন, তারা বাস্তব জীবনেও দেখিয়েছেন দাদাগিরি। জামশেদপুরের মন্দ্রিতা সম্প্রতি খেলতে এসেছিলেন দাদাগিরি অনুষ্ঠানে। তার জীবনের গল্প হার মানাবে অনেক রূপকথাকে। বর্তমানে কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মন্দ্রিতা।
মহিলাদের জন্য তিনি গত ১০ বছরও ধরে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। দাদাগিরির সিজন ১০ এর প্রতিযোগী মন্দ্রিতা বর্তমানে কলেজ স্টুডেন্ট। তবে তিনি গত ১০ বছর ধরে জামশেদপুরের বিভিন্ন মহিলা কলেজে নিজের হাত খরচের টাকা দিয়ে তৈরি করে চলেছেন শৌচাগার। যেসব কলেজে বাথরুম নেই, সেই সব কলেজে তৈরি করেছেন মহিলাদের জন্য শৌচাগার। বছরের পর বছর ধরে নিজের চেষ্টায় মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য করে চলেছেন কাজ। এই কর্ম কান্ড কী ভাবে শুরু করলেন মন্দ্রিতা?
আরোও পড়ুন : অযোধ্যার সাথে মিশে গেল বাংলাও! বাঙালি শিল্পীর হাজার মূর্তিতে সাজবে রামমন্দির ‘করিডর
এই প্রশ্ন সৌরভ করলে তিনি জানান, ‘আমি তখন ক্লাস ৪ এ পড়ি। বাবার সঙ্গে বসে খবর দেখছিলাম। যখন একটা খবরে চোখ আটকায়। বহু মেয়েরা স্কুল ছেড়ে দিচ্ছে। কারণ জানতে চাওয়ায় বাবা বলে যে ওদের স্কুলে মেয়েদের জন্য ভালো বাথরুম নেই, তাদের বাথরুম যেতে অসুবিধা হয় তাই। এটা শুনে আমি বলি আমরা কিছু করতে পারি না ওদের জন্য? তখন বাবাই আমায় বলেছিলেন যে তোর টাকা হলে ওদের জন্য বাথরুম বানিয়ে দিস। কথাটা আমার মনে গেঁথে যায়। সেই থেকে হাত খরচ জমিয়ে জমিয়ে বাথরুম বানানো শুরু করি।’
View this post on Instagram
দাদাগিরির মঞ্চে মন্দ্রিতা জানান যে এখনো পর্যন্ত তিনি দশটি স্কুলে এরকম বাথরুম তৈরি করেছেন। মহিলাদের পিরিয়ডস, স্বাস্থ্যের অন্যান্য বিষয় নিয়েও কাজ করে থাকেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানান তাকে ঘোষণা করা হয়েছে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মুখ হিসাবে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মন্দ্রিতার এই ঘটনা শুনে অভিভূত হয়ে পড়েন। সৌরভ বলেন, ‘দুর্দান্ত।’ এই ধরনের কাজ আরো করার জন্য তিনি অনুপ্রেরণা দেন মন্দ্রিতাকে।