যাত্রীদের ভোগান্তির দিন শেষ, মান্থলির বদলে শর্তসাপেক্ষে চালু হল দৈনিক টিকিট বিক্রি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে স্বাভাবিক ট্রেন (train) চলাচল। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চললেও, সেখানে নিত্যযাত্রীরা ভিড় বাড়তে থাকায় নানারকম সমস্যার সম্মুখীনও হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তারউপর সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে উঠলেও, তাঁরা টিকিট কেটেই সফর করতে চাইছেন। এবার যাত্রী সুবিধার্থে এক নয়া পন্থা বের করল রেল কর্তৃপক্ষ।

এতদিন যাবৎ রেলকর্মীদের সঙ্গে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। তবে তাঁরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে মান্থলি কেটেই ট্রেনে সফর করতেন। তবে এবার থেকে ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে দৈনিক টিকিট বিক্রি শুরু করল রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে এই মর্মে টিকিট দেওয়া শুরু হলেও, মঙ্গলবার থেকে বেড়েছে টিকিট বিক্রির পরিমাণ।

Some people will be able to get on the Special Train

যাত্রীদের শুধু জানাতে হবে, তাঁরা কি জরুরী কারণে ট্রেনে সফর করতে চান। রবিবার শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনে মৌখিক ও মোবাইল মেসেজে ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে যাত্রীদের টিকিট দেওয়ার বার্তা পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রতিটি বুকিং অফিসে শিয়ালদহের এসিএম (সিপি) হরিনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ম্যাসেজ মারফত জানিয়ে দেন, যাত্রীদের যদি এই শর্তে টিকিট না দেওয়া হয় এবং তাঁরা যদি টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান, তাহলে তার দায় বর্তাবে বুকিং কাউন্টারের কর্তব্যরত কর্মীর উপরই।

এবিষয়ে হরিনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে ইমারর্জেন্সি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকগুলি ক্যাটেগরি রয়েছে। কেউ ওষুধের দোকানের কর্মী, কেউ বা আবার অসুস্থ পরিবারের সদস্যকে দেখতে যাচ্ছেন। এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের প্রয়োজন হলেও এনারা কি ডকুমেন্ট দেখিয়ে টিকিট কাটবেন। সেই কারণেই ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে দৈনিক টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে’।

তবে শিয়ালদহ শাখায় এই পদ্ধতি চালু করা হলেও, হাওড়া ডিভিশনে এখনও এই পদ্ধতি না চালু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। সেখানে এখনও মান্থলি টিকিট পরিষেবাই চালু রয়েছে। এবিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে মাত্র কয়েকটি ক্যাটেগরির কর্মীরা তাঁদের আই কার্ড দেখিয়ে মান্থলি কাটতে পারবেন।  ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে দৈনিক টিকিট বিক্রির এখনও কোন নির্দেশ আসেনি। যার কারণে পুরনো সিদ্ধান্তই বহাল থাকছে’।
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর