এবার ভ্যাকসিন নিয়েও শুরু দালাল চক্র, সমস্যা বাড়ছে আমজনতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে রীতিমত আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যে নতুন করে করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৭ জনের। সংক্রমনের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মৃত্যুর পরিমাণ বেশ আশঙ্কাজনক। এই মুহূর্তে করোনার কবল থেকে বাঁচতে উপায় হলো একমাত্র ভ্যাকসিন। কিন্তু সেই মহামূল্য ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের কালোবাজারি। এবার খবরে উঠে এলো এমনই এক দালাল চক্রের কথা৷ প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন মিলছে না একথা আজকেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ২৪ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রাপ্য তার মধ্যে এসে পৌঁছেছে মাত্র ১৩ লক্ষ। এই নিয়ে আজ প্রেস কনফারেন্স থেকেই সোজাসুজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন মমতা।

কিন্তু এবার সমস্যা দেখা দিল অন্য জায়গায়। ভ্যাকসিন এটি অপ্রতুলতাকে কাজে লাগিয়েই রমরম করে শুরু হলো দালাল চক্র। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে এমনিতেই অস্বস্তিতে মানুষ। এর ওপর আবার শোনা গেল লাইন বিক্রির কথা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়িতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে ভিড় কমাতে লাইনে দাঁড়ানো প্রথম ৪০০ জনকে কুপন দেওয়া হচ্ছে। ঠিক উপরের মাধ্যমেই পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে টিকা পাচ্ছেন গ্রহীতারা। কিন্তু এই লাইন নিয়ে দেখা দিল সমস্যা। খবর অনুযায়ী, এর মধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র। সকালে লাইন দিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে কুপন নিচ্ছে তারা। আর তারপর তা বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা অবধি দামে বিক্রি হচ্ছে এ ধরনের একটি কুপন। রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে বারবার এ নিয়ে সওয়ালও করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। অথচ টিকার দাম দিতে না হলেও হাসপাতালে এসে লাইনের দাম হিসাবেই ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। খবর কানে গেলেও এখনও তেমন কোনো প্রমাণ নেই স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের কাছে। তবে তারা বলেন, লাইনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা কমাতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিছু দালাল চক্র। এ ব্যাপারে যদিও এখনই নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জীবনদায়ী ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে যেভাবে শুরু হয়েছে অরাজগতা, তা যে কখনোই কাম্য নয় তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কেন্দ্র থেকে আসছে না বরাদ্দ ভ্যাকসিন। আর সেই কারণেই বারবার নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমজনতাকে।

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর