বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিলেন ডালহৌসির অফিস পাড়ার পাইস হোটেলের নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)। একটা সময় ডালহৌসের এই নন্দিনী দিদির (Nandini Didi) ভাতের হোটেলের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন কাস্টমাররা। কখনও ইউটিউবার-ব্লগার তো কখনও আবার সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন থাকতো এই নন্দিনী ভাতের হোটেলের খাবার খাওয়ার জন্য।
হঠাৎ কেন মেজাজ হারালেন পাইস হোটেলের নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)?
শুরুটা হয়েছিল করোনা কালে লকডাউন এর সময় থেকে। সেই থেকেই ভাতের হোটেলের এই নন্দিনী দিদি (Nandini Didi) রাতারাতি হয়ে ওঠেন ‘ভাইরাল দিদি’। সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন নন্দিনীর এখন দু’দুটো ভাতের হোটেল। শুধু ডালহৌসিতেই নয়, এখন নিউটাউনেও রয়েছে নন্দিনীর আরও একটি পাইস হোটেল।
বর্তমানে তিনি একসাথে দুটো পাইস হোটেল চালাচ্ছেন। একাধিকবার এই নন্দিনীদের ভাতের হোটেলের খাবারের দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনই একবার দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় রাগ সামলে নন্দিনী বলেছিলেন, ‘আমার ব্যবসা আমি করব… আমি কাউকে গিয়ে জিগ্গেস করছি এত কম দামে কেন বিক্রি করছে। যার খাওয়ার সে খাবে, যে পারবে না সে খাবে না।’
তাছাড়াও কখনও নিজের বাবার সাথে বাজেভাবে কথা বলে কিংবা কাস্টমারদের সাথে অভদ্র আচরণ করে একাধিকবার নেটিজেনদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন নন্দিনী। তবে এবার নিজের ভাতের হোটেলে বসে খেতে খেতেই আচমকা মেজাজ হারালেন নন্দিনী। বেশ বিরক্তি নিয়েই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি ব্যবসায়ী, চিটিংবাজ নই।’
আরও পড়ুন : বিনোদন জগতেও প্রশ্নের মুখে নারী-নিরাপত্তা! মেয়ে’কে নিয়ে কি বললেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষার মা-বাবা?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, ট্রেন্ডস ইন বেঙ্গল নামে একটি ফেসবুক পেজের ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নিজের হোটেলে বসেই থালায় সাজানো খাবার দেখিয়ে বেশ সুর চড়িয়ে নন্দিনী বলছেন,’চিটিংবাজ আর ব্যবসায়ীর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি ব্যবসায়ী, চিটিংবাজ নই।’
এরপরেই ভাতের থালা দেখিয়ে নন্দিনী বলেন, ‘এই থালিটার মধ্যে করলা ভাজা, ঝুরি আলু ভাজা, বেগুনি, আলু ভাজা, বা আলু সেদ্ধ,পাঁপড়, চাটনি মোট চারটে আইটেম রয়েছে। এই চারটে আইটেম সরিয়ে নিলেই দাম হয়ে যাবে ৩০ টাকা।’ এরপরেই নন্দিনীর প্রশ্ন, ‘তাহলে এতগুলো আইটেমের মোট দাম ৫০ টাকা হবে না?’ এরপর দেখা যায় কথা শেষ করেই, এদিন আবার নিজের খাওয়ার দিকেই মন দিয়েছেন ভাইরাল দিদি নন্দিনী।