বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলায় একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা কিংবা মাটিয়া থেকে বোলপুরের মত এলাকায় পরপর নারী নির্যাতন থেকে যৌন হেনস্থা কাণ্ডে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে কিছুদিন পূর্বে কলকাতা হাইকোর্ট ঘোষণা করে যে, তাদের তদারকিতে বিশেষ টিম গঠন করে ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত চালানো হবে এবং সেই বিশেষ তদন্ত দলের নেত্রী হিসেবে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে বেছে নেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
ফলে বর্তমানে মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার এবং বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলর তদন্তভার হাতে নিয়েছেন দময়ন্তী সেন। আর এবার সেই তদন্তকে আগে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ইংরেজবাজারের আইসিকে লালবাজারে ডেকে পাঠালেন দময়ন্তী। শুধু তাই নয়, মালদার তিন পুলিশ কর্মীকেও এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
বর্তমানে পীড়িত পরিবারের পাশাপাশি গোটা রাজ্যবাসীর নজর যে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনের দিকেই থাকবে, তা বলা বাহুল্য। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এ দিন বিকেল চারটের সময় দময়ন্তী সেনের দপ্তরে হাজির থাকতে চলেছেন ইংরেজবাজার থানার আইসি আশিস দাস। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, স্থানীয় থানার তদন্তকারী অফিসারসহ এসডিপিওকেও এদিন দময়ন্তী সেনের সামনে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, 27 শে মার্চ ইংরেজ বাজার এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাবালিকার বাড়িতে ঢুকে ঐদিন তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। তবে মালদা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ইতিমধ্যেই এই মামলায় অভিযুক্তকে তারা গ্রেফতার করেছে এবং চার্জশিটও তৈরি করা হয়েছে। ফলে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা জানার জন্যই এ দিন তাদের দময়ন্তী সেনের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে।