মাত্র ১৫০০ টাকাতেই পাহাড় ভ্রমণ! সঙ্গে ঝর্ণা-কুয়াশা-জঙ্গলের সৌন্দর্য মিলবে ওড়িশার এই জায়গায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ওড়িশা (Odisha) বলতেই সকলেই চোখে ভেসে ওঠে সমুদ্রের অসীম জলরাশি। আর পাহাড় ভ্রমণের কথা উঠলেই কম বেশী সকলেই বেছে নেন দার্জিলিং বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিকে। তবে, ওড়িশাতেও যে পাহাড়ি সৌন্দর্যের দেখা মিলতে পারে সেকথা বোধহয় ভাবতে পারেন না অনেকেই। কথা হচ্ছে দারিংবাড়ি নিয়ে। ওড়িশার শৈলশহর দারিংবাড়িকে (Daringbadi) অনেকে বলেন ‘ওড়িশার কাশ্মীর’।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত শৈলশহর (Hill Station) দারিংবাড়ি যেন প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা এক প্রাকৃতিক বিস্ময়। জানা যায়, দারিং নামের এক সাহেবের দৌলতেই ব্রিটিশ আমলে এই শৈলশহরের প্রতিষ্ঠা হয়। জানা যায় যে, স্থানীয় কুইভাষায় ‘দারিং’ শব্দের অর্থ উপত্যকা, আর ‘বাড়ি’ অর্থে ঘর, সেইদিক থেকে ‘দারিংবাড়ি’ শব্দের অর্থ হল উপত্যকার বাড়ি।

   

Daringbadi

যাদের নির্জনতা পছন্দ তারা কিন্তু অনায়াসেই দুদিনের ছুটিতে টুক করে ঘুরে চলে আসতে পারেন দারিংবাড়ি থেকে। পাহাড়প্রেমী মানুষের কাছে দারিংবাড়ি হয়ে উঠতে পারে সেরা ‘উইকেন্ড ডেস্টিনেশন’। ঝর্না, নদী, পাহাড়, জঙ্গল– কী নেই সেখানে। পাহাড়ি জঙ্গলেই রয়েছে থাকার আস্তানা। পাইনের সাড়ি দেখে মনেই হবে না আপনি ওড়িশায় রয়েছেন। শীতে তাপমাত্রা চলে যায় মাইনাসে।

পাহাড়ে ঘেরা দারিংবাড়িতে দেখার জায়গার কমতি নেই। রয়েছে লুদু জলপ্রপাত, মড়ুবান্দা জলপ্রপাত ও পুতুদি জলপ্রপাত। এর মধ্যে বেশির ভাগ জলপ্রপাতগুলোই ঘন অরণ্য দ্বারা আবৃত। হিল ভিউ পার্ক ও কফি গার্ডেনের সৌন্দর্যও রীতিমতো নজরকাড়া। চুপ করে বসে থাকলে কানে আসবে পাখির আওয়াজ ও নদী বয়ে চলার একটানা শব্দ। গাড়ি ভাড়া করে সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন এই জায়গাগুলি।

daringbadi

দারিংবাড়ি যেতে হলে ব্রহ্মপুর রেল স্টেশনে নেমে সড়কপথে যেতে হবে আরও ১৩০ কিলোমিটার। নিকটতম বাস স্ট্যান্ড ফুলবনি। এখানে থাকার জন্য অনেকগুলো হোটেল, বাংলো ও রিসোর্ট রয়েছে। সেখানেই আপনি খাওয়া-দাওয়াও সেরে ফেলতে পারেন। এখানে ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা অবধি বাংলো ও রিসোর্ট রয়েছে। সব মিলিয়েই বলা যায়, সস্তায় পুষ্টিকর এই দারিংবাড়ি।

ad2
Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর