বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় রয়েছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই পার্বণের মতোই বাঙালির কিন্তু সিজন অনুযায়ী ফল ও সবজির বিষয়টিও বেশ মজাদার। যেমন ধরুন শীতকালে কমলালেবু। শীতের মরশুমে কমলালেবু খান না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দায়। স্কুল, অফিসের টিফিন হোক কিংবা পিকনিক, শীতকালে অধিকাংশ বাঙালির মেনুতে থাকে কমলালেবু।
এই কমলালেবুর স্বাদ ও গন্ধ সকলের কাছেই অতি পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই শীতকালে আমাদের কমলালেবু খাওয়া একটা রুটিনে দাঁড়িয়ে গেছে।বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কমলালেবু। তবে এই কমলালেবুর মধ্যে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর। দার্জিলিং এর কমলালেবু স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। চাহিদার তুলনায় বাজারে কম দার্জিলিংয়ের কমলা লেবু।
আরোও পড়ুন : নিউ ইয়ারে নিউ রেকর্ড! কাঁড়ি কাঁড়ি মদ বিক্রি হল মুর্শিদাবাদে
তাই সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু। তবে অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নাগপুর বা অন্যান্য জায়গার কমলালেবুকে দার্জিলিং এর বলে বিক্রি করছেন। তাই অনেক সময় ক্রেতারা বুঝতে না পেরে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু ভেবে অন্য জায়গার লেবু কিনে ঠকে যাচ্ছেন।
আরোও পড়ুন: মাসিক বেতন যথেষ্ট নয়! স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি করেন অন্য কাজ, রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থা তথৈবচ
মালদহ জেলা উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক তিনটি উপায় বলেছেন যা দিয়ে সহজেই দার্জিলিংয়ের কমলালেবুকে সনাক্ত করা যায়। প্রথমত, সহজে খোসা ছাড়ানো যায় না দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর। নাগপুরের কমলালেবুর খোসা সহজেই ছাড়ানো যায়। দ্বিতীয়টি হল সহজেই গন্ধ শুঁকে গ্রাহকরা বুঝতে পারবেন সেই কমলালেবুটি কোথাকার।
দার্জিলিং এর কমলালেবুর গন্ধ সবসময় সুন্দর। তাই কেনার সময় ক্রেতাকে অবশ্যই গন্ধ শুঁকে কমলালেবু কিনতে হবে। তৃতীয়ত, রং দেখে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু চেনা যায়। গাঢ় কমলা হয়ে থাকে দার্জিলিং এর কমলালেবুর রঙ। তবে হলুদ ভাব বেশি থাকে নাগপুরের কমলালেবুর গায়ে। এই তিনটি নিয়ম মেনে চললেই আপনারা সহজে দার্জিলিংয়ের কমলালেবু চিনতে পারবেন।