বাংলাহান্ট ডেস্ক : দার্জিলিঙে (Darjeeling) ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল টয় ট্রেন চেপে ভ্রমন। ঐতিহ্যশালী এই ট্রেনে চড়ার জন্য বহু মানুষ মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর দার্জিলিংয়ে বন্ধ ছিল রোপওয়ে। এর ফলে বহু পর্যটকেরই মন খারাপ হচ্ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে পুনরায় দার্জিলিঙে রোপওয়ে চালু করার।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরোনো রুটেই ফের চালু করতে চাইছে রোপওয়ে। দার্জিলিং ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই রোপওয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দার্জিলিঙে পুনরায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে চালু হোক রোপওয়ে। জানা যাচ্ছে রোপওয়ে চালুর ব্যাপারে নিরাপত্তার দিকে আরও বাড়তি নজরদারি দেবে সরকার।
দার্জিলিং ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্যই হল পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা। রোপওয়ে করে উপর থেকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যায় শৈল শহরের সৌন্দর্য। আগে দার্জিলিং এর স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্যও ব্যবহার করতেন এই রোপওয়ে। তবে দার্জিলিঙে এই রোপওয়ে ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটে ২০০৩ সালে। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় চার পর্যটকের।
২০১২ সালে ফের এই পরিষেবা শুরু হলে তা সম্পূর্ণ ছিল না। রুট কাটছাঁট করে মাত্র ২.৩ কিলোমিটার পথে চালানো হয় এই রোপওয়ে। দার্জিলিংয়ের চকবাজার থেকে সিংলা বাজারের মধ্যে প্রথম রোপওয়ে সার্ভিস শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। সিঙ্গল ট্র্যাক জিক ব্যাক প্রযুক্তিতে চলা এই রোপওয়েতে পরিবর্তন আসে ১৯৯৬ সালে।
মনোমেবল গোন্ডলা প্রযুক্তিতে নির্ভর করে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করে রোপওয়ে। রাম্মাম নদী ও রাম্মাম উপত্যকার উপর দিয়ে চলা এই রোপওয়ে ছিল দার্জিলিংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। সরকার চাইছে নতুনভাবে পুরনো রুটেই রোপওয়ে পরিষেবা চালু করতে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্রুত সংস্কার করা হবে পুরনো রুটের। তৈরি করা হবে নতুন টার্মিনাল।