বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে এতদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। কম বাজেটের ছবিটি অভিনেতা অভিনেত্রীদের দক্ষতা এবং ছবির বিষয়বস্তুর উপরে ভর করে এতদূর পাড়ি দিয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী ও অনুপম খের ছাড়াও ছবিতে আরো একজন যিনি বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিলেন, তিনি দর্শন কুমার (Darshan Kumaar)। ছবিতে কৃষ্ণা পণ্ডিতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।
দ্য কাশ্মীর ফাইলসে অভিনয়ের জন্য বিশেষ প্রশংসা পেয়েছেন দর্শন। অথচ এই বাহবা টুকু পাওয়ার আগে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাঁর নামটাও কেউ জানত না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফেলে আসা কঠিন স্ট্রাগলের দিনগুলোর কথা ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
২০০১ সালে ‘মুঝে কুছ কহনা হ্যায়’ ছবিতে একটি ছোট্ট চরিত্রের মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন দর্শন। ফ্লপ হয়েছিল ছবিটি। এরপর সলমন খানের ‘তেরে নাম’ ছবিতেও খুবই ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দর্শন। ছবি হিট হলেও বলা বাহুল্য প্রশংসা পাননি তিনি।
দর্শন বড় ব্রেক পান ‘মেরি কম’ ছবিতে। সেখানে পদকজয়ী বক্সারের স্বামীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুরু থেকেই স্ট্রাগল করে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন দর্শন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অডিশনের জন্য মুম্বই ছাড়িয়ে আরো অনেক দূরে যেতে হত আমাদের। একবার বলা হয়েছিল ফর্মাল পোশাক পরে আসতে। আমার কাছে জুতো কেনার মতোও টাকা ছিল না। তাই অন্ধেরি থেকে ২০০-৩০০ টাকায় এক জোড়া জুতো কিনে বেশ কিছুদিন ওটা দিয়েই চালিয়েছিলাম।”
দর্শন আরো জানান, বাস ভাড়া বাঁচিয়ে সেই টাকায় একটা বিস্কুটের প্যাকেট কিনতেন তিনি। যেদিন চা পেতেন ভাল। নয়তো জল আর বিস্কুট খেয়েই সারা দিন কাটাতে হত। হেঁটে যাওয়া আসা করতে করতে স্বাভাবিক ভাবেই জুতো টিকত না। এমনি একদিন রাত দশটায় অডিশন থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে জুতো ছিড়ে যায় দর্শনের। শেষে জুতো হাতে নিয়েই ৫-৭ কিমি হেঁটে ফিরেছিলেন তিনি। অনেক সময় টাকার অভাবে খালি পেটেও রাত কাটিয়েছেন অভিনেতা।
মেরি কম তাঁকে জরুরি পরিচিতিটা দিয়েছিল। আর দ্য কাশ্মীর ফাইলস দিল জনপ্রিয়তা। এছাড়াও এন এইচ ১০, দ্য ফ্যামিলি ম্যান, আশ্রম, সর্বজিৎ এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন দর্শন।