বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতে (India) এসে পৌঁছেছে রাফাল লড়াকু বিমান (Rafale)। ফ্রান্স (France) থেকে সাত হাজার কিমি হাওয়াই সফর অতিক্রম করে বুধবার দুপুর তিনটে নাগাদ পাঁচটি রাফাল লড়াকু বিমান ভারতের আম্বালা এয়ারবেসে (Ambala Air Base) অবতরণ করেছে। রাফালের আগমনকে সকলে নিজের মত করে স্বাগত জানিয়েছিল।
রাফাল লড়াকু বিমান
রাফালের আগমনে ভারতের সেনা শক্তি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। লাদাখ এবং কাশ্মীরে চীন এবং পাকিস্তানের করা সবরকম হামলা থেকে ভারতকে রক্ষা করবে এই লড়াকু যুদ্ধ বিমান। রাফালের উইঙ্গ স্প্যান ১০.৯০ মিটার দীর্ঘ। দৈর্ঘ ১৫.৩০ মিটার এবং উচ্চতা প্রায় ৫.৩০ মিটার।
রাফালের মিশাইল
রাফালে তিন ধরনের মিশাইল যুক্ত আছে। বায়ু থেকে বায়ুতে যুদ্ধ করতে সক্ষম মিটিওর মিশাইল, বায়ু থেকে সরাসরি ভূমিতে যুদ্ধ করতে সক্ষম স্ক্যাল্প মিশাইল এবং সর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন হ্যামার মিশাইল।
চীন পেল জোর ঝটকা
চীনের সবথেকে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান হল জে-২০ ফাইটার জেট, যা শোনা গিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ বিমান এফ-২২ যুদ্ধ বিমানের অনুকরণে চীনেই তৈরি করা হয়েছে। রাফালের ধারে কাছেও আসতে পারবে না চীনের জে-২০ ফাইটার জেট। এই পরিস্থিতিতে ভারতে রাফালের আগমন, চীনের কাছে বড় ঝটকা থেকে কোন অংশে কম নয়।
রাফাল লড়াকু বিমান vs জে-২০ ফাইটার জেট
- ক্ষমতা
চীন দাবী করে তাঁদের জে-২০ ফাইটার জেট, পঞ্চম জেনারেশনের বিমান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, এই বিমানের তৃতীয় জেনারেশনে সুখোই-এর ইঞ্জিন লাগানো আছে। অপরদিকে রাফাল কিন্তু চতুর্থ জেনারেশনের যুদ্ধ বিমান। তাই রাফালের কাছে চীনের জে-২০ ফাইটার জেট অতি নগণ্য। - আকার
আকারের দিক থেকে রাফাল খুবই সংযত, যার ফলে খুব অল্প জায়গাতেও নামতে পারে এই যুদ্ধ বিমান। আকাশে যুদ্ধকালীন সময় রাফালের সংযত আকার খুব কাছ থেকেও হামলা চালাতে পারে, কিন্তু চীনের জে-২০ ফাইটার জেট তা করতে পারে না। - ইঞ্জিনের ক্ষমতা
চীনের জে-২০ ফাইটার জেটএর ইঞ্জিন ১৪৫ কিলো নিউটন ত্রাস্ট সৃষ্টি করে। কিন্তু এদিকে রাফালের ইঞ্জিন মাত্র ৫০ কিলো নিউটন ত্রাস্ট সৃষ্টি করে। যার ফলে ইঞ্জিনের পাওয়ার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে চীন তাঁদের যুদ্ধ বিমানে সুখোই-৩৫ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। তবে এই ইঞ্জিনও রাফালের সামন কিছুই না।
এই শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার ফলে জিনপিং সরকার এবং ইমরান খান বেশ চাপে রয়েছে। এই যুদ্ধ বিমান ভারতের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার ফলে, ভারতের ক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গেল।