বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছিলেন ডেটা সায়েন্টিস্ট, হয়ে গেলেন জৈন সন্ন্যাসী। এ যেন চোখের সামনে ভোল বদল। মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলায় বসবাসকারী প্রাণশুক কান্থেদ জৈন সাধকে রূপান্তরিত হলেন। সন্ন্যাস জীবনের জন্য আমেরিকায় ১.২৫ কোটি টাকার প্যাকেজের চাকরিও ছেড়ে এসেছেন তিনি। পাঁচ বছর আগে তিনি চাকরির জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন কিন্তু তারপর ভারতে ফিরে আসলেন।
প্রাণশুক ছাড়াও প্রিয়াংশ লোধা, পবন কাসওয়াও দেওয়াস জেলার হাতপিপলিয়ায় তপস্বী জীবন বেছে নিলেন। প্রাণশুক মূলত হাটপিপলিয়ার বাসিন্দা, তবে কয়েক বছর ধরে ইন্দোরে বসবাস করতেন। 2017 সালে তিনি বিদেশে কাজ করতে যান। তারপর হঠাৎ করেই একদিন পাল্টে যায় তার জীবন। তিন ঘণ্টাব্যাপী এক অনুষ্ঠানে সমাজের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সনাতন প্রক্রিয়া সূত্র পাঠ দিয়ে শুরু করা হয় অনুষ্ঠান। এরপর দীক্ষিতদের দীক্ষার পোশাক পরানো হয়। তারপর তিন ঋষি খালি পায়ে তাদের নতুন জীবনের দিকে যাত্রা করেন।
প্রাণশুকের মামার ছেলেও সাধক হয়েছেন। কান্থেদ পরিবার থেকে আসা প্রাণশুক জৈন সাধক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পরিবারের সদস্যরা রাজিও হন তাতে। এরপর আমেরিকায় ডেটা সায়েন্টিস্টের চাকরি ছেড়ে দেওয়াসে চলে আসেন তিনি। জানা যায়, বিদেশে থাকার সময়েও তিনি তাঁর গুরু মন্ত্র বই পড়তে থাকেন। প্রাণশুকের পাশাপাশি তার মামার ছেলে প্রিয়াংশু লোধাও একজন সাধু হয়েছেন। প্রিয়াংশু এমবিএ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন।
হাটপিপলিয়ার কৃষি মান্ডি প্রাঙ্গণে দীক্ষা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জিতেন্দ্রমুনিজি, স্বয়মুনিজি, ধর্মেন্দ্রমুনিজির উপস্থিতিতে এই দীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে দীক্ষা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দীপক জোশী, বিধায়ক মনোজ চৌধুরীও।