বাংলাহান্ট ডেস্ক: আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) ভারতে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত সরকার। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর একটি খবর পাওয়া গেল। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছে দাউদ। এই ওয়ান্টেড অপরাধী একজন পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করেছে। করাচির ডিফেন্স এলাকার একটি বাড়িতে বসবাস করছে তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন দাউদের মৃত বোন হাসিনা পারকরের ছেলে আলিশা ইব্রাহিম পারকর।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির জেরায় দাউদের ঠিকানা জানিয়ে মুখ খুলেছেন হাসিনার ছেলে। কেন্দ্রীয় অপরাধ দমন সংস্থা তদন্ত করে জানতে পেরেছে, দাউদের দ্বিতীয় স্ত্রী একজন পাকিস্তানি পাঠান। তার ভাগ্নে এনআইএ-কে দাউদের এই দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে জানিয়েছেন।
তবে কবে বিয়ে হয়েছে এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কোথায় থাকেন সেই সম্পর্কে কিছু জানাননি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী মেহজাবিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেনি দাউদ। মেহজাবিন মুম্বইতে তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচিতে দাউদ নিজের ঠিকানা বদল করেছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে এনআইএ তদন্তে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানে দাউদ কয়েক দিন আগেই নিজের ঠিকানা বদল করেছে। বর্তমানে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা এলাকায় বসবাস করছে সে।
শেখ দাউদ ইব্রাহিম কসকর মুম্বইয়ের হাজি মস্তান গ্যাং-এর সঙ্গে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। খুব তাড়াতাড়িই মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের শিখরে পৌঁছে যায় সে। মস্তান পরে রাজনীতিতে যোগ দেয়। তারপর গ্যাং-এর সব দায়িত্ব পায় দাউদ। তার আমলে আরও বড় আকার ধারণ করে গ্যাং।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অপরাধ সিন্ডিকেট চালায় দাউদ। তার বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ সহ একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ আছে। দাউদ দেশ ছাড়ার পর তার বোন হাসিনা পারকর সিন্ডিকেটের দায়িত্ব নেন। হাসিনার স্বামীকে ১৯৯১ সালে দাউদের প্রতিপক্ষ অরুণ গাওলি গ্যাং হত্যা করে। হাসিনা পারকরও ২০১৪-তে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।