বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দাউদের কুনজর এবার প্রধানমন্ত্রীর ( Prime Minister ) ওপর? মোদী হত্যার ছক আঁকছে দাউদ? ঠিক এমনটাই কিন্তু অনুমান করছে মুম্বই পুলিশের ত্রাইম ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার মুম্বই ট্রাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপে (Mumbai Traffic Police WhatsApp Number) এক অজ্ঞাতপরিচয় ফোন নম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মোট সাতটি ভয়েস মেসেজ আসে। এরপরেই ঘটনা ঘিরে শুরু হয় তীব্র চঞ্চল্য।
অজ্ঞাতপরিচয় সেই নম্বর থেকে রহস্যজনক ভয়েস মেসেজে বলা হয়, “দু’জন ব্যক্তি খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করবে। ইতিমধ্যেই নাকি সেই খুনের সমস্ত প্ল্যানও রেডি।” এক্কেবারে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি? খবর জানাজানি হতেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় বাণিজ্য নগরীর পুলিশ বিভাগে। মামলা দায়ের করে শুরু হয় জোর কদমে তদন্ত।
অডিয়ো মেসেজের পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় সেই নম্বর থেকে পাঠানো হয় বেশ কিছু ডকুমেন্টও। তারপরই শুরু হয় সেই নম্বর ট্র্যাক করার কাজ। দাউদের পরিকল্পনা নিয়েও বিশদে তদন্ত চালায় মুম্বাই পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ ছিল দাউদের কোনও সাকরেদই মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভয়েস মেসেজ সহ ডকুমেন্টস গুলি পাঠিয়েছে।
খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে উঠেছিল পুলিশ প্রশাসন সহ দেশের রাজনৈতিক মহল। হুমকি রহস্যের কুল কিনারা করতে মরিয়া চেষ্টা চালায় পুলিশ। তবে পরে তদন্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায় এবং মেসেজ ও অডিও ক্লিপটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। ট্রাফিক পুলিশের কাছে এমন বার্তা এই প্রথম নয়। এর পূর্বে আগস্ট মাসেও , একজন ব্যক্তি ২৬/১১-এর মতো হামলার দাবি করেছিলেন।
একটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির অবস্থান পশ্চিমবঙ্গে সনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের কাছে এক ডজনেরও বেশি অডিও ক্লিপ, বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি, একটি কোম্পানির এমডির ছবি, একটি আধার কার্ড এবং হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর সহ অনেক কিছু পাঠিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা ভালো নয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।