বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপে মৃত দমদমের (Dumdum) ব্যক্তির সহকর্মী এবার শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হওয়ার দরুণ তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে অসুস্থ ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তবেই জানা যাবে যে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। মৃত দমদমের ব্যক্তির সাথে একই অফিসে তাঁর পাশের টেবিলে বসে কাজ করতেন এই অসুস্থ ব্যক্তি।
ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬০০ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। রাজ্যেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও অবধি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন। মৃত দমদমের বাসিন্দা আগে থেকেই অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু গত শনিবার তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করা হয়। এবং রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর চিকিৎসারত অবস্থায় গত সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি।
তাঁর সৎকারের কাজেও আসে নানান বাধাবিগ্ন। প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরী হলেও, পরে নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য নিয়ে গেলেও সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হয়। শ্মশান কর্তৃপক্ষ তাঁর দেহ দাহ করতে অস্বীকার করে। পড়ে অনেক ঝঞ্ঝাট পেড়িয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।
এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ শে মার্চ অবধি করে দেন। এবং বলা হয় যে, লকডাউনের নিয়ম অমান্য করলে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন জায়াগায় মানুষদের দেখা গেছে লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরোত। তাই কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, লকডাউনের সিদ্ধান্ত না মানলে কার্ফু জারি করা হতে পারে।