এবার মিড-ডে মিলের খিচুড়িতে মরা টিকটিকি, তুলকালাম কাণ্ড পাঁশকুড়ার স্কুলে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেদিনীপুর, বীরভূমের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পাঁশকুড়া। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে বিতর্ক যেন একের পর এক চলেছে। এবার খাবারের বালতিতে মিললো মরা টিকটিকি (Lizard)। কয়েকদিন আগেই বীরভূমের একটি স্কুলের খাবারের ডালে পাওয়া গেছিলো মরা সাপ। এবার টিকটিকির হদিশ মিলতেই ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্কুল পড়ুয়াদের মা বাবারা।

সূত্রের খবর, অন্যান্য দিনের মতো আজও পাঁশকুড়ার মাইসোর এলাকার শ্যামপুর আইসিডিএস (ICDS) স্কুলে মিড ডে মিলের বন্দোবস্ত করা হয়। হঠাৎ করে রান্নার বালতিতে যখন একজনের চোখ যায়, তিনি দেখেন রান্নার বালতিতে একটি মরা টিকটিকি পড়ে আছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই খিচুড়ি বাচ্চাদের মধ্যে পরিবেশন করাও হয়ে গেছে। এই প্রসঙ্গে যখন স্কুলের মিড ডে মিল কর্মী রোশনারা বিবিকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি বলেন যে তিনি এই বিষয়ে কিছুই নাকি জানেন না।

   

পাশাপাশি, ঠিক কী করে তাঁর রান্নার মধ্যে টিকটিকি পড়তে পারে, এই নিয়েও তিনি যারপরনাই অবাক। তার বক্তব্য, ওই মিড ডে মিলের রান্না করা খিচুড়ি তাঁরা নিজেদের জন্যও রান্না করে থাকেন। কিন্তু তিনি যদি সত্যিই জানতেন যে, রান্নায় মরা টিকটিকি পড়েছে তাহলে তিনি বাচ্চাদের একদমই খেতে দিতেন না বলেও উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, এই খিচুড়ি খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হওয়ায় তাদের মা বাবারা চরম বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Dead lizard

তাঁদের বক্তব্য এই যে, এই যে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যেখানে রান্না করা হয়, সেটি একটি অন্ধকার জায়গা। একটি বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা নেই সেখানে। আর তার জন্যই এই গাফিলতি। এর ফলেই রান্নায় আজ টিকটিকি পাওয়া গেছে এবং না জেনে সেই রান্না বাচ্চাদের মধ্যে পরিবেশন করা হয়েছে। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেডিক্যাল টিম সেখানে পৌঁছে যায়। তবে আপাতত কোনো বাচ্চার অসুস্থতার খবর পাওয়া না গেলেও কেন এই জেলাতেই একের পর এক মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্ক, এই নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর