বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বাঁচার একমাত্র উপায় যখন ভ্যাকসিন, সেই জীবনদায়ী ভ্যাকসিন নিয়েও তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক। চাহিদামত ভ্যাকসিন মিলছে না দিনের পর দিন অপেক্ষা করার পরেও। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা, সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যখন জটিল। তখনই সামনে এল এক অদ্ভুত ঘটনা। ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারির কথা আগেও যে শোনা যায়নি তা নয়। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক করা হচ্ছে জীবন দায়ী ভ্যাকসিনের টোকেন। তবে এবার যে ঘটনা ঘটলো তা রীতিমতো অদ্ভুত।
জীবিত মানুষ যখন রীতিমতো হাহাকার করছেন ভ্যাকসিন পাবার জন্য তখন প্রায় তিন বছর কিংবা দশ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তির নামে চলে আসছে ভ্যাকসিন প্রাপকের সার্টিফিকেট। অর্থাৎ ভ্যাকসিন পেয়ে যাচ্ছেন ১০ বছর আগের মৃত কোন ব্যক্তি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের রাজকোট জেলার উপতেলা গ্রামে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা হরিদাস ভাই করিঙ্গিয়া গত হয়েছেন ২০১৮ সালে। তার দাহকার্য সমাধা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরাই। এমনকি ডেথ সার্টিফিকেট রয়েছে তাদের কাছে। অথচ গত ৩ মে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের জানানো হয় হরিদাস ভাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এমনকি এ বিষয়ে শংসাপত্র পান তারা।
একই ঘটনা ঘটেছে দাহদ জেলাতেও, এই অঞ্চলের বাসিন্দা নটবরলাল দেসাই মারা গিয়েছিলেন ২০১১ সালে। কয়েকদিন আগে পরিবারকে এসএমএস করে জানানো হয় ভ্যাকসিন পেয়েছেন তিনিও। গুজরাট সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পাঠানো হয় এসএমএস এবং সেই এসএমএসে দেওয়া লিংকে ক্লিক করলেই পাওয়া যায় শংসাপত্র। সেই সূত্র ধরেই ভ্যাকসিন নেওয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছেন তারাও। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় এখন তোলপাড় প্রশাসন। এর পিছনে কোন চক্র আছে কিনা অনুসন্ধান করছে পুলিশ। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে, অনেকক্ষেত্রেই ব্ল্যাক করা হচ্ছে ভ্যাকসিন। এর পিছনেও সে ধরনের কোনো কান্ড থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের।