অবাক কাণ্ড! ভোটের তালিকায় ‘মৃত’, অথচ ডিউটি পড়ল পোলিং অফিসার হিসেবে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে প্রতিটি দফার ভোটের দিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবাইকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। তদুপরি ভোট দিতে পারবেন না রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের সিনিয়র একজিকিউটিভ অফিসার শৈলেনচন্দ্র ঘোষ। কারণ ভোটের তালিকায় তিনি ‘মৃত’।

b 1

অথচ একসপ্তাহ আগেই এই ৫৯ বছরের সরকারি কর্মীর বাড়িতে এসে পৌঁছয় ডিজিটাল এপিক কার্ড। মৃত ব্যক্তির আবার এপিক কার্ড! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ আদতে ওই শৈলেনচন্দ্র বাবু জীবিত। ১৯৭১ সাল থেকেই রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার এই সরকারি কর্মীকে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)  তরফে ৭ দিন আগে ভোটের ডিউটি করতে জানানো হয়। খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুলে দ্বিতীয় পোলিং অফিসার (Polling Officer) হিসেবে তাঁর ডিউটি পড়ে।

c

সেই মত আশুতোষ কলেজে তাঁর নিয়মিত ভোটের ট্রেনিংও চলে। তবে প্রশ্ন এখানেও কেউ যদি ‘মৃত’ হয় তাহলে কমিশন তাঁকে কাজে বহাল করল কীভাবে ? আবার যদি তিনি মৃত না হন, তাহলে তালিকায় তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হল কীভাবে ? বারে বারে সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করলেও, কোনও উত্তর পাননি শৈলেনচন্দ্র ঘোষ।

A 6

উল্লেখ্য, রাজ্যে ইতিমধ্যেই মিটে গিয়েছে ৫ দফার ভোট পর্ব। বাকি আরও তিন। সেই তিন দফার ভোটগ্রহণ হবে ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল। তারই আগে উদ্বেগ বাড়িয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দুই কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশিল চন্দ্র (Sushil Chandra) এবং নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা দুজনেই রাজ্যের বাকি তিন দফার বঙ্গ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করে চলেছে।

সম্পর্কিত খবর