বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) শাহি স্নানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার এক বৃদ্ধা ও এক প্রৌঢ়ার। মেদিনীপুরের শালবনি থানার গোদাপিয়াসাল কাছারি রোডের বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়া (৭৮) মেয়ে-জামাইয়ের সাথে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন পুণ্য স্নানের উদ্দেশ্যে। বুধবার ভোরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) গিয়ে মৃত্যু
মৃতার পরিবারের সদস্যরা বুধবার প্রয়াগরাজের মতিলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের মর্গে গিয়ে বৃদ্ধার দেহ শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার বৃদ্ধার মৃতদেহ (Deadbody) অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হবে খড়্গপুরে। ৭৮ বছর বয়সী ঊর্মিলা দেবী সোমবার বিকালে খড়গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন প্রয়াগরাজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
তার সাথে ছিলেন মৃতার জামাই কমল মাইতি সহ ৭ জন। সেদিনই ট্রেনে প্রয়াগরাজ পৌঁছান তাঁরা। তবে বুধবার ভোরে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh) প্রাঙ্গনে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে মৃত্যু হয় ঊর্মিলা দেবীর। মৃতার পৌত্র অভিজিৎ মাইতি জানিয়েছেন, ‘‘বুধবার দুপুরে আমরা ফোনে এই খবর পাই।”
আরোও পড়ুন : কুম্ভে গিয়েও সঙ্গমে ডুব দেওয়া হল না, কী এমন ঘটল শ্রীমার সঙ্গে!
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “মা-বাবা, মেসো, মাসি, দিদা, ঠাকুমা, মামিমা এবং আমার এক বোন সোমবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ওঁরা প্রয়াগরাজ স্টেশন থেকে নেমে, হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। রাতে সেখানেই ছিলেন। আর ভোরে পুণ্যস্নানে বেরিয়ে এই কাণ্ড।’’
অন্যদিকে, প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতার (Kolkata) বিজয়গড়ের বাসন্তী পোদ্দার। কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা বাসন্তী দেবী ছেলে-মেয়ে ও বোনের সাথে মহাকুম্ভে যান সোমবার। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ছেলের দাবি, মাঝরাতেই তারা রওনা দেন সঙ্গম ঘাটের উদ্দেশ্যে। আগে থেকে কোন প্ল্যান না থাকার জন্য তড়িঘড়ি ফ্লাইট বুক করেন তারা। রওনা দেন মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে। তবে কুম্ভ মেলায় যাওয়াই কাল হল প্রৌঢ়ার। সেখানেই রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে পদদলিত হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুলেন্সে করে বাসন্তী পোদ্দারের মৃতদেহ আজ আনা হচ্ছে কলকাতায়।