বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাঁচদিন আগে মিরাটে লখিপুরা ড্রেনে একটি যুবতীর শিরশ্ছেদ করা দেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার বিস্তর তদন্তের পর আজ বুধবার সকালে তদন্তকারী দল যুবতীর বাড়ি পৌঁছায়। তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পারেন এই যুবতীকে হত্যা করেছে তার নিজের বাবা ও ভাই।
সূত্রের খবর, মস্তকবিহীন লাশটি শালিমার গার্ডেনের লিসাদী গেটের ৩ নম্বর গলিতে বসবাসকারী সানিয়ার। এর আগে যখন তদন্তকারীরা সোনিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করে তখন কোথাও কোনও রক্তের চিহ্ন পাওয়া জায়ন। কিন্তু তার বাড়ির ড্রেনের জলের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হলে তাতে রক্তের নমুনা পান তদন্তকারীরা। এরপর তাদের মনে সন্দেহ হয় যে এই খুনের পিছনে বাড়ির কেউ যুক্ত থাকতে পারেন। এরপরেই তদন্তকারীরা সানিয়ার বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তার বাবা জানান, ১৮ বছর বয়সী সানিয়া তার প্রেমিক ওয়াসিমকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই ছেলেটিকে সানিয়ার বাড়ির কারোর পছন্দ ছিল না। বহুবার সানিয়াকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বললেও সে কথা শোনেনি। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হয়েছে।
সানিয়ার বাবা আরো সংযোজন, “আজ থেকে 7 বছর আগে আমার পরিবার মিরাটের শাহজাদ কলোনিতে থাকত। ইমরানের বাড়ি আমার বাড়ির কাছেই ছিল। ইমরানের ছেলে ওয়াসিম। বাড়ির সান্নিধ্যের কারণে আমাদের পরিবারে অনেক মেলামেশা ছিল। এর ফলে ওয়াসিম ও সানিয়ার মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। ওয়াসিম সাইফি সম্প্রদায়ের এবং আমরা কোরেশি। এ ছাড়া ওয়াসিম কোনো কাজকর্ম করে না। এরপরে আমরা বাসস্থান বদল করি। তারপরও সানিয়া ও ওয়াসিম নিজেদের সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। আমি সম্প্রতি এক জায়গায় সানিয়ার বিয়ে ঠিক করলেও সে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। তাই পশু কাটার ছুরি দিয়ে সানিয়ার ঘরে ঢুকে, ওকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করি।”
মর্মান্তিক এই ঘটনার বিবরণ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই সানিয়ার বাবা, ভাই সহ পরিবারের লোকজনদের আটক করেছে পুলিশ।