বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) প্রদান সহ একগুচ্ছ দাবিদাওয়া রয়েছে তাঁদের। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। শীর্ষ আদালতেই নির্ধারণ হবে অগুনতি সরকারি কর্মীর ভগ্য। এসবের মাঝেই ডিএ নিয়ে বড় ‘গড়মিলে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মিললেও বাড়ল সরকারি কর্মীদের ‘সমস্যা’!
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ষষ্ট বেতন কমিশনের অধীন ১৪% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। চলতি বছর মে মাসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৪% ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জানানো হয়, এপ্রিল মাস থেকেই এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে। সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারি কর্মীদের এক মাসের বকেয়া ডিএ পাওয়ার কথা ছিল। এবার তা নিয়েই বেঁধেছে সমস্যা!
এক মাসে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারীর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের যে এপ্রিল মাসের বকেয়া ডিএ দেওয়া হয়েছিল সেটা পে স্লিপে দেখানো হয়নি। টাকা পাওয়া গেলেও সেটাকে ডিএ এরিয়ার হিসেবে না দেখিয়ে ইন্টারিম রিলিফ তথা আইআর হিসেবে দেখান হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলা জুড়ে তুমুল বর্ষণ! দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায় জারি হলুদ সতর্কতাঃ আবহাওয়ার খবর
কিংকর এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গে এপ্রিল মাসের ৪% ডিএ এরিয়ার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এখন কোনও স্কুলের শিক্ষক অথবা অশিক্ষক কর্মী পে স্লিপ ডাউনলোড করলে অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে সেই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার টাকাকে ডিএ এরিয়ার হিসেবে না দেখিয়ে আইআর হিসেবে দেখানো হচ্ছে’।
বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে এই ভুল তথ্য দেখানো প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘অ্যানুয়াল স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করলে সেখানেও ওই একইভাবে ভুল তথ্য দেখানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। শিক্ষা দফতরের কাছে আমরা অবিলম্বে এই ভুল সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি। পে স্লিপ নানান কাজে ব্যবহৃত হয়। সেখানে এমন ভুল তথ্য একেবারেই কাম্য নয়’।